মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তথ্য চেয়েছে সিডিএ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগরে ভূমিকম্পের সময় ঝুঁকে পড়া চারটি ভবনের বিষয়ে প্রকৌশল বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। আগামী ১০ দিনের মধ্যে মতামত জমা দিতে বলা হয়। এ নিয়ে চারটি ভবনের মালিকের কাছে সিডিএর অথরাইজড অফিসার-১ মোহাম্মদ ইলিয়াছ পৃথক চিঠি পাঠান। সিডিএ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর ভোরে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পুরো দেশ। এ সময় চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় ভবন হেলে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন সিডিএর ইমারত পরিদর্শক টিম বিভিন্ন এলাকার ভবনগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে চারটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। এর মধ্যে রয়েছে নগরের চকবাজার কাপাসগোলা পুরাতন উর্দু লেনের চার তলাবিশিষ্ট রহমান ভিলা, একই এলাকার ছয় তলাবিশিষ্ট খদিজা ম্যানশন, চান্দগাঁও থানাধীন সাবানঘাটা খাজা রোডের চার তলাবিশিষ্ট হালিমা ভবন-১ এবং চার তলাবিশিষ্ট হালিমা ভবন-২-কে চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ২৬ নভেম্বরের ভূমিকম্পে ভবনগুলো হেলে পড়ায় যে কোনো মুহূর্তে ভয়াবহ দুর্ঘটনাসহ প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় দেশের যে কোনো স্বীকৃত প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিম কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বা সমপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী দিয়ে ভবনের কাঠামোগত দিক বিবেচনায় ফাউন্ডেশন ও স্ট্রাকচারাল সেইফটির বিষয়ে মতামত নিয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে সিডিএকে দাখিল করতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে অনতিবিলম্বে ভবনটি খালি করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় যে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি হলে তার দায়দায়িত্ব ভবন মালিকের ওপর বর্তাবে।’

সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ভূমিকম্পের পর ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া ভবনগুলোর ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ মতামত নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ মতামত নিতে বলা হয়। অন্যথায় যে কোনো দুর্ঘটনার দায়ভার ভবন মালিকদের নিতে হবে। তাছাড়া সিডিএ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়েও নতুন করে সিদ্ধান্ত নেবে।     

জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে ৫.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর নগরে দুটি ভবন হেলে পড়ে। তাছাড়া জরাজীর্ণ কিছু ভবন ও   সীমানাপ্রাচীরে ফাটল দেখা দেয়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) পরিচালিত ‘আর্থকোয়াক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ সেন্টার’ (ইইআরসি) এর গবেষণায় বলা হয়, চট্টগ্রাম নগরের ৭৮ শতাংশ ভবনই  ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের ১ লাখ ৮২ হাজার   ভবনের মধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজারই ভূমিকম্প- ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে স্কুল ও হাসপাতাল ভবন এবং বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো। ৮ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে এসব স্থাপনা ধসে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর