শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ইভিএম মনে করতাম চুরির বাক্স পরে দেখলাম ডাকাতির বাক্স : তৈমূর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে বহিষ্কৃত অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমি কথা বলে যাব। তবে আমার জন্য আরেকটা বিষয় ফরজ হয়ে গেছে। তা হলো ইভিএম দিয়ে যেন কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না যায় এটা অবশ্যই বলতে হবে। আমি মনে করতাম এটা চুরির বাক্স। কিন্তু নির্বাচনের পরে দেখেছি এটা ডাকাতির বাক্স। রাজনৈতিক দল যদি ইভিএমে নির্বাচনে যায় তাহলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে।’ গতকাল নিজের পুরনো আইন পেশায় উচ্চ আদালতে ফিরে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে নির্বাচন, পারিবারিক নানা কাজ, নিজের নেতা-কর্মীদের জামিনের জন্য বেশ কিছুদিন নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছিলেন তৈমূর।

তিনি বলেন, ‘আমি রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলাম। কলাম লিখতাম। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, বিশেষত প্রতিবন্ধী সংগঠনগুলো করতাম। বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলাম।

জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলাম। জাতীয় চারটি পত্রিকায় আমার কলাম ছাপা হতো। দেশের বাইরেও কয়েকটি বাংলা পত্রিকায় আমার কলাম ছাপা হতো। এখন আমার মূল পেশা হলো আইন ব্যবসা।

আমি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে শুরু করে আপিল বিভাগ পর্যন্ত ওকালতি করি। আমি আপিল বিভাগের একজন আইনজীবী। নির্বাচনের সময় আমার ৩৫ জন লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা নির্বাচনে কাজ করছিলেন। তাদের জামিনের জন্য কোর্টে গিয়েছি। এখন আগের মতোই নিয়মিত আইন পেশায় নিয়োজিত থাকব।’

তিনি বলেন, ‘এ কদিন আমার লোকজনের জামিনের জন্য ব্যস্ত ছিলাম। ইতোমধ্যে অর্ধেক লোক জামিন পেয়ে গেছেন। বাকিরা জামিন হওয়ার পর আমি পুরোপুরি আইন পেশায় নিয়োজিত হব। আমি মানুষের মাঝেই ছিলাম। আমাকে ডাকলেই তারা কাছে পাবেন।’

প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তৈমূর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করেছিলেন। নির্বাচনের আগেই তাঁকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়। নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এমনকি তাঁর নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালকেও তাঁর পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর