সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

অবিলম্বে গণমাধ্যম কর্মী আইন প্রত্যাহার করুন : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবিলম্বে গণমাধ্যম কর্মী খসড়া আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এসব কালো আইনের মাধ্যমে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের সত্য প্রকাশে দমিয়ে রাখা যাবে না। নিবর্তনমূলক আইন ও কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সাংবাদিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান জানান। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ আয়োজনে ইফতার মাহফিল ও সদ্য কারামুক্ত সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ দাবি ও আহ্বান জানান।

বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এ টি এম মাসুদ। বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের  সাবেক সভাপতি কামালউদ্দিন সবুজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে রুহুল আমিন গাজীকে ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে নতুন করে গণমাধ্যম কর্মী সুরক্ষা আইন-২০২২ তৈরি করা হচ্ছে। এটা করার উদ্দেশ্যই হলো কোনোমতেই যেন বাক স্বাধীনতা, ফ্রিডম অব প্রেস, ডেমোক্রেসি না থাকে। কোনোমতেই যেন সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলতে না পারে। যারাই সত্যের পথে, গণতন্ত্রের পথে, জনগণের পক্ষে কথা বলবে তাদের যেন নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেজন্য এই আইন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই আইন যদি পাস হয়ে যায়, পাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ পার্লামেন্টে সদস্য যারা আছে তারা লেজুড়বৃত্তি করেন। এই আইন পাস হয়ে গেলে আজকে দেশে পুরোপুরিভাবে একটা নিয়ন্ত্রণমূলক অবস্থা বিরাজ করছে সেটা পাকাপোক্ত হবে। ফ্যাসিবাদী বাকশাল কায়েম পাকাপোক্ত হবে। এমনিতেই এই সরকারের দুর্নীতি-অপকর্মের বিরুদ্ধে দেশে কেউ কথা বলতে পারে না। লিখতে পারে না।

সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের ছোটখাটো বিভেদ ভুলে গিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য, গণমাধ্যমের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য, ফ্রিডম অব প্রেস রক্ষা করার জন্য আপনারা সবাই একতাবদ্ধ হয়ে লড়াই করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর