মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

থাইল্যান্ডের ভেনামি জাতের ১২ লাখ চিংড়ির পোনা খুলনায়

পরীক্ষামূলক চাষের জন্য ছাড়া হবে পুকুরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

থাইল্যান্ড থেকে ভেনামি জাতের চিংড়ির আরও ১২ লাখ পোনা দেশে আনা হয়েছে। গতকাল দুপুরে বিমানে করে এসব পোনা ঢাকায় ও পরে সেখান থেকে তা যশোর হয়ে খুলনার পাইকগাছায় আনা হয়। দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষামূলক চাষের জন্য ভেনামি চিংড়ির পোনা পাইকগাছার লবণ পানি গবেষণা কেন্দ্রের পুকুরে ছাড়া হবে। এর আগে ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো থাইল্যান্ড থেকে এক মিলিয়ন ভেনামি চিংড়ির পোনা এনে পাইকগাছা লবণ পানি কেন্দ্রের পুকুরে ছাড়া হয়। পরীক্ষামূলক চাষে সাফল্য পাওয়া গেলে সারা দেশে সরকারিভাবে ভেনামি চাষে অনুমতি দেওয়া হবে। জানা যায়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় এমইউসি ফুডস ভেনামি চিংড়ি চাষ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।

এমইউসি ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্যামল দাস বলেন, চিংড়ির আন্তর্জাতিক বাজার ৮১ ভাগই ভেনামির দখলে। কিন্তু পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কায় আমাদের দেশে ভেনামি চাষে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকরা কয়েক বছর ধরে লাভজনক ভেনামি চাষের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে এমইউসি ফুডসকে ভেনামির পরীক্ষামূলক চাষের অনুমতি দেয় সরকার। এদিকে প্রথম দফায় পরীক্ষামূলক চাষে দেখা গেছে, আধা নিবিড় পদ্ধতিতে ভেনামি চিংড়ি অধিক ঘনত্বে চাষ করা যায়। এ ছাড়া ৯০-১২০ দিনের মধ্যে চিংড়ি সংগ্রহ করা যায়। ভেনামি পোনা, খাবার ও উপকরণ সহজলভ্য হলে এর উৎপাদন ব্যয় কমবে ও অধিক লাভ করা যাবে।

চিংড়ি চাষিরা জানান, গলদা ও বাগদা চিংড়ি চাষ বছরে একবারের বেশি করা যায় না। আর ভেনামি চাষ করা যায় বছরে তিনবার। সাধারণ পুকুরে প্রতি হেক্টরে ৩০০-৪০০ কেজি বাগদা চিংড়ি পাওয়া যায়। অন্যদিকে একই পরিমাণ জমিতে সাত-আট হাজার কেজি ভেনামি চিংড়ি উৎপাদন সম্ভব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর