কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ইতোমধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। এখন অপেক্ষা প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দের। প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকলেও থেমে নেই মেয়র প্রার্থীরা। তারা সময় পার করছেন ঘরোয়া কর্মপরিকল্পনা করে। কেউ সময় দিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের ব্যস্ততা নিয়ে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ শহিদ জানান, এ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণার সুযোগ নেই। আমরা নির্বাচনী বিধি মেনে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। কীভাবে প্রচার-প্রচারণা করা যায়, কীভাবে আরও ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যায় আমরা সে পরিকল্পনা করছি। সদ্য বিদায়ী মেয়র বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কু বলেন, বাসায় বসে কীভাবে কেন্দ্র কমিটি দেওয়া যায়, কারা এজেন্ট হবে, কারা পোলিং এজেন্ট হবে, কীভাবে প্রচারণা করব এসব বিষয়ে পরিকল্পনা করছি। ফোনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তাদের কথা শুনছি, তারাও বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরানের নির্বাচনী সমন্বয়ক জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতীক পাওয়ার আগের এই কয়েক দিনে আমরা কর্মী-শুভাকাক্সক্ষীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তাদের কী সমস্যা এবং কী করলে ভালো হয় সেই কাজগুলো করছি। তবে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি সচেতন কর্মীদের। যাদের আমরা পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দিব। স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কৃত নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, কীভাবে এই নির্বাচনে বিজয়ী হব সেসব বিষয় নিয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছি। কেন্দ্রে এজেন্ট কীভাবে দিব, কীভাবে প্রচার চলবে, কারা সেসব দায়িত্ব পালন করবেন তা নিয়ে কাজ করছি।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং অফিসার মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, আমরা সুষ্ঠুভাবে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করেছি। যাচাই-বাছাইয়ে ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছি। আগামী ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দ। তার আগে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ।