শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

উপবৃত্তির অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাকালে অনুদান ও উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার নামে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করেছে কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র। শিক্ষা বোর্ডের নামে ভুয়া নম্বর ব্যবহারে অভিভাবকদের ফোনে কল করে কৌশলে নেওয়া হয় পিন কোড। উপবৃত্তির টাকার সঙ্গে পিন কোড, কখনো পাসওয়ার্ড যোগ-বিয়োগ কৌশলে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপসের গোপনীয়তা জেনে হাতিয়ে নেওয়া হয় এ টাকা। যা দ্রুত বিভিন্ন নম্বরে অল্প অল্প করে ট্রানজেকশনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার এই চক্র গ্রাহকদের উপবৃত্তির অন্তত অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলছে, গত তিন-চার বছর ধরে সক্রিয় একটি প্রতারক চক্রের ১২ সদস্যকে শনাক্ত করেছে তারা। এরমধ্যে চক্রের হোতা আশিকুর রহমানকে (২৫) মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাইফুল ইসলাম (৩০) ও মোক্তার হোসেন (৩৪) নামে একই এলাকার আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। 

গতকাল দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান সংস্থার এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

তিনি বলেন, চক্রের প্রধান আশিক মূলত ভুয়া এনআইডিতে রেজিস্ট্রেশন করা সিমকার্ডগুলো সংগ্রহ করে সদস্যদের সরবরাহ করে থাকেন। যে কারণে তাদের শনাক্ত করাটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য কঠিন। চক্রটি করোনাকালীন অনুদান দেওয়া হচ্ছে এবং অনুদান পাওয়ার জন্য পিন কোড ও ভেরিফিকেশন কোডটি তাদের দিতে হবে মর্মে প্রভাবিত করে তাদের কাছ থেকে পাসওয়ার্ড নিয়ে মোবাইলে আর্থিক লেনদেনের প্ল্যাটফরম ব্যবহার করেও প্রতারণা করে আসছিল। এভাবে গত দুই-তিন বছরে চক্রটি ভুক্তভোগীদের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিয়েছে অর্ধ কোটি টাকা। সেই টাকায় বিলাসবহুল জীবনযাপন করে আসছিলেন তারা।

মুক্তা ধর বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা গণহারে বিভিন্ন নম্বরে মেসেজ পাঠায়। শিক্ষা বোর্ডের নামে ভুয়া নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলে। কোনো সরলমনা শিক্ষার্থী বা অভিভাবক যদি ফাঁদে পা দেন, তাকে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠিয়ে প্রতারিত হতে হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন থানায় প্রতারণা আইনে মামলাও হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসার পর সিআইডির এলআইসির একটি দল চক্রটিকে শনাক্ত ও তাদের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় একাধিক প্রতারণার চক্র শনাক্ত করা হয়। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও সরেজমিন পাওয়া তথ্য সংগ্রহ বিশ্লেষণসহ ঘটনায় ১২ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এর মধ্যে চক্রের হোতা আশিকুর রহমান হচ্ছেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়ার আবু কলাম মোল্লার ছেলে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর