মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ড. ইউনূসসহ কিছু ব্যক্তি পদ্মা সেতু নিয়ে বিদেশে ষড়যন্ত্র করেছিলেন : ড. সেলিম মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশন ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান ও আইন বিশেষজ্ঞ ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যাতে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে না পারে সেজন্য ড. ইউনূসসহ কিছু ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেছিলেন।’ তিনি গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক আয়োজিত অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কম্পলাইয়ান্স অফিসারদের ২০২২ সালের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত বেশ কয়েক বছর ধরে বিদেশে লবিস্টদের মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এই অপশক্তি দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে যে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করছে, সেই অর্থ দেশ থেকে পাচারের অর্থ। এই অর্থ কীভাবে দেশ থেকে তারা পাচার করল, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুসন্ধান করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বিশ্বমোড়ল ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের খবরদারি এবং চোখ রাঙানিকে তোয়াক্কা না করে ও বাংলাদেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন।’ ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশেই মানি লন্ডারিং হয়। তবে দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে  সেই টাকা দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহারের ঘটনা আর কোথাও দেখা যায় না। দেশের টাকা নানাভাবে বিদেশে পাচার করে ষড়যন্ত্রকারীরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। পদ্মা সেতুসহ দেশের নানা উন্নয়নকে নস্যাৎ করার জন্য পাচার করা টাকা লবিস্টদের মাধমে তারা ব্যবহার করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য তারা বিদেশে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। এই টাকা দেশ থেকে পাচার করা টাকা। বর্তমানে লন্ডন থেকে তারেক জিয়া মানি লন্ডারিংয়ের কলকাঠি নাড়াচ্ছেন। এই চক্রটি দেশ থেকে পাচার করা টাকা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার কাজে ব্যবহার করছে। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নানাভাবে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করছে। একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি তার কোম্পানির শত শত কোটি টাকার মুনাফা নিজের প্রতিষ্ঠিত কিছু ভুঁইফোঁড় কোম্পানির অনুকূলে ট্রান্সফার করেছে। এটি ভিন্ন নামে মূলত অর্থ পাচার।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈপ্লবিক উল্লম্ফন ঘটেছে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে তিনিই সমৃদ্ধ করেছেন। তৈরি পোশাক খাতে ২৬ বছরে ২০০৮ সালে দেশের রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ১০ বিলিয়ন ডলার। আর মাত্র ১০ বছরে ২০১৯ সালে শেখ হাসিনা তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি ৩৪.১৩ ডলারে উন্নীত করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই প্রবৃদ্ধি ২৪১%। একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ থেকে নানাভাবে অর্থ পাচার করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সরকারের সংশিষ্ট কর্মকর্তাসহ আমাদের সবাইকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বমোড়লদের চ্যালেঞ্জ করে শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘটনা বর্তমান বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে উন্নয়নশীল বিশ্বের এক যুগান্তকারী বিজয়। শেখ হাসিনার এই সাফল্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমগ্র উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলোর দরকষাকষির সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে নিঃসন্দেহে।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ, বিএসইসির কমিশনার ড. মিজানুর রহমান, বিএসইসির কমিশনার মো. আবদুল হালিম এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম। সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর