বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বছরে বাঁচবে ২ হাজার কোটি টাকা

মোংলা বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীদের পণ্য ঢাকায় যাচ্ছে সাড়ে ৩ ঘণ্টায়

বাগেরহাট প্রতিনিধি

স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর মোংলা বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরা সুফল পেতে শুরু করেছেন। মোংলা বন্দরকেন্দ্রিক আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টায় ঢাকা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সময় বেঁচে যাওয়ার কারণে তাদের বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি পদ্মা সেতু চালুর পর ভোগান্তি কমায় ঈদ আনন্দ বয়ে যাচ্ছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ট্রাক-লরি ড্রাইভার ও হেলপারদের মাঝে।

মোংলা বন্দর ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়াডিং অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির আহম্মেদ বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু মোংলা বন্দরের ব্যবসায়ীদের জন্য একটি আশীর্বাদ। পদ্মা সেতু চালুর পর আমাদের ব্যাবসায়ীদের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে প্রায় দুই শতাধিক ট্রাক ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এ বন্দর ব্যবহার করে আমাদের প্রায় ৪ শতাধিক ব্যবসায়ী, যারা আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত। আগে মোংলা বন্দর থেকে ঢাকায় আমাদের পণ্য পৌঁছতে সময় লাগত কমপক্ষে ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা। এখন লাগছে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। এর ফলে শুধুমাত্র সড়ক পথেই আমাদের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের সময়ের পাশাপাশি বছরে আর্থিক ভাবে বেঁচে যাবে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের মোংলা বন্দর বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আহসান আরজু বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আমাদের ব্যবসায়ীদের আমদানি করা শতাধিক গাড়ি মোংলা বন্দর থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় পৌঁছে গেছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের শুধু জ্বালানি তেল বাবদ বছরে আনুমানিক প্রায় ১২ কোটি টাকা সেভ হবে। বারভিটার প্রায় ৩০০ সদস্য মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি করেন। কম সময়ে গাড়ি খালাস ও রাখার পর্যাপ্ত জায়গা থাকায় ব্যবসায়ীরা এই বন্দর দিয়ে আমদানি করতে বেশি পছন্দ করেন। পদ্মা সেতু চালুর মধ্য দিয়ে বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বেড়েছে কয়েক গুণ। মোংলা বন্দর এলাকার শারমিন গ্রুপের ট্রাকচালক মোহাম্মদ ফরিদ বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরদিন রবিবার বিকালে কোম্পানির মাল নিয়ে সাড়ে ৩ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছি।

মোংলা বন্দর এলাকার লরিচালক মোহাম্মদ হাসমত আলী বলেন, ‘ঘাটে কী যে কষ্ট করছি ভাই, তিন-চার দিন ঘাটেই পার কইরে দিছি। ঠিকমতো খাওয়া-নাওয়া নাই, ঘাটে বসেই পকেটের ট্যাহা সব শেষ হইছে, সাথে কষ্ট করছি ফাও। মালিক তার মাল ঠিকমতো ঢাকাতে পাডাইতে পারে নাই। কত মালিকরে কানতে দেখছি। সেই কষ্টের দিন গ্যাছে, এইডায়ই আমার কাছে বড় কিছু। এখন আমারা প্রতিদিনই ঈদ আনন্দ উপভোগ করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর