মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অশালীন আচরণের জেরে সম্প্রতি ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারিয়েছেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ। তিনি ‘রাজাকারপুত্র’ বলে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। তাকে পদচ্যুত করার দাবিতে মুক্তিযোদ্ধারা ও তাঁদের সন্তানরা নানা কর্মসূচি পালন করেন। এমন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ হঠাৎ পদ হারানো তোফায়েল আহমেদের পক্ষ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনটি শেষতক প- হয়ে গেছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশের বাধার কারণে। এ সময় সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে পুলিশ এসে তা নিয়ন্ত্রণ করে। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘তোফায়েল আহমেদের পক্ষে শনিবার ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সহিদুল ইসলাম। এর আগেও তিনি তোফায়েলের বিরুদ্ধে জেলার সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। হঠাৎ তোফায়েল আহমেদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করায় আমি এবং অন্য মুক্তিযোদ্ধারা বাধা দিই।’ জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘এর আগে তার দলিলসহ উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। আজকে গুটিকয় বীর মুক্তিযোদ্ধা কাউন্টার প্রেস কনফারেন্স করতে চেয়েছিলেন। তারা মুক্তিযোদ্ধা হয়ে একজন স্বাধীনতাবিরোধীর পক্ষ অবলম্বন করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধাচরণ করতে পারেন না। একজন রাজাকার সন্তানকে তারা প্রতিষ্ঠিত করতে চান, এটা হতে দেওয়া যাবে না।’ এ বিষয়ে সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২১ জুন আমাদের ভুল বুঝিয়ে তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল। ওই সংবাদ সম্মেলনে আমরা যে অভিযোগ করেছি তা ভুল ছিল।
এটা জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলাম।’ ডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরননবী বলেন, ‘তোফায়েল আহমেদের বাবা, দাদা, নানা যুদ্ধাপরাধী ছিলেন তার অনেক প্রমাণ রয়েছে আমার কাছে। তিনি ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ডোমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠান বর্জন করে আসছিলেন ডোমার উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানরা।