মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

রেলসেতু ছুঁয়েছে রূপসার দুই পাড়

খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ডিসেম্বরে

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

রেলসেতু ছুঁয়েছে রূপসার দুই পাড়

পদ্মা সেতু চালুর পর মোংলা বন্দরকে ঘিরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কম খরচে মালামাল পরিবহনে কাক্সিক্ষত খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে গুরুত্ব দিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। জানা যায়, প্রকল্পে এর মধ্যে রেললাইন, টেলিকমিউনিকেশন সিগন্যালিং ও রূপসা নদীতে রেলসেতু নির্মাণসহ সার্বিক ভৌত নির্মাণকাজে অগ্রগতি হয়েছে ৯০-৯৫ শতাংশ। খুলনা-মোংলা রেললাইনের উপপ্রকল্প পরিচালক (প্রধান প্রকৌশলী) আহমেদ হোসেন মাসুম জানান, সর্বশেষ দুটি স্প্যান জোড়া দিয়ে রূপসা নদীর পশ্চিমপাড় বটিয়াঘাটা পুটিমারী ও পূর্বপাড় খারাবাদ এলাকায় রেলসেতুর সংযোগ স্থাপন হয়েছে। নদীতে সেতুর পাইলিংসহ যাবতীয় কাজ শেষ হয়েছে। এখন উপরের গার্ডারে কাজ, রেললাইন বসানো, ফিনিশিং কাজ চলছে। রেলসেতুর ৯৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এক মাসের মধ্যে রেলসেতুর বাকি কাজ শেষ হবে।  খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, যোগাযোগব্যবস্থা উন্নয়ন ও আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধিতে বন্দর সংযুক্ত করে খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্প নেয় সরকার। ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ রেলপথ নির্মাণ হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে। কম খরচে মালামাল পরিবহন সহজ হবে। বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে উত্তরাঞ্চলে পঞ্চগড় ও বাংলাবান্ধা হয়ে ভারতের শিলিগুড়ির রেল যোগাযোগ। মোংলা বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, বন্দরকে কার্যক্ষম করতে বন্দরসংযুক্ত রেল যোগাযোগ চালু করতে হবে। রেললাইন বন্দর পর্যন্ত আসবে। এতে বন্দরের কনটেইনার বেইজ রেলওয়ে সুবিধা থাকবে। খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান জানান, খুলনা অংশে কাজ মোটামুটি শেষ হলেও বাগেরহাট অংশে রেলস্টেশন, রেলপথ নির্মাণকাজ বাকি আছে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে। জানা যায়, গত বছর প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় রেলওয়ে ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৮৬ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। রূপসা নদীর ওপরে যুক্ত হচ্ছে ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রেলসেতু। ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল রেললাইনের অধিকাংশ নির্মাণকাজ করছে। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর