খুলনার কয়রার দক্ষিণ বেতকাশীতে জোয়ারের প্রবল পানির চাপে প্রথম দফায় ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়নি। ভাঙনের এক দিন পর স্বেচ্ছাশ্রমে সেই বেড়িবাঁধ মেরামত করেই বাড়ি ফিরেছেন প্রায় ৩ হাজার মানুষ। এতে কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি ও মাছের ঘের রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। জানা যায়, রবিবার ভোর রাতে দক্ষিণ বেতকাশীতে কপোতাক্ষ নদের ভাটির টানে চরামুখা গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (১৪/১) পোল্ডারের বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রামের ৭-৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরবাড়িসহ ২ হাজার বিঘা মৎস্য ঘের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে ওই দিন স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করলেও দুপুরে জোয়ারের পানির প্রবল চাপে সম্ভব হয়নি। প্রায় ৩০০ মিটার বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।

কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, দক্ষিণ বেদকাশীর প্রায় ৩ হাজার মানুষ ভেঙে যাওয়া ৩০০ মিটার বাঁধ প্রাণপণ চেষ্টায় গতকাল জোয়ার আসার আগেই নির্মাণ করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড এ কাজে বস্তা দিয়েছে। সকালের ভাটি থেকে দুপুরের জোয়ার পর্যন্ত এলাকাবাসী রিংবাঁধের নির্মাণকাজ শেষ করেন।

এ ছাড়া অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩১ নম্বর পোল্ডারে ঝালবুনিয়া, ঢাইংমারি, খলিশা বাঁধে কাজ চলছে। জাবেরের খেয়াঘাটে কিছু কাজ হয়েছে। আরও কিছু বাকি আছে। বটিয়াঘাটার বুঝবুনিয়ায় কাজ শেষ পর্যায়ে। দিঘলিয়ার আমবাড়িয়া, মোমিনপুর ও তেরখাদা পারহাজিগ্রাম বাঁধে কাজ চলমান আছে।