বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
খুলনায় কর্মশালায় তথ্য

সুন্দরবনের ৫২ শতাংশে অভয়ারণ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে ‘ওয়াইল্ড লাইফ ট্যুরিজম বিকাশে করণীয় : প্রেক্ষিত সুন্দরবন’ শীর্ষক কর্মশালা গতকাল খুলনার হোটেল সিটি ইন-এ অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে।

খুলনা সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, খুলনা প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ, খুলনা আঞ্চলিক ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্টি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. ওয়াসিউল ইসলাম। প্রধান অতিথি বলেন, পর্যটন বিকাশে দক্ষ ও প্রশিক্ষত গাইডের বিকল্প নেই। ট্যুর অপারেটরদের পরিবেশ সংবেদনশীলতা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় থাকলে ওয়ার্ল্ড লাইফ ট্যুরিজম দ্রুত বিকাশ লাভ করবে।

তিনি বলেন, পর্যটনের স্বার্থে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং পরিবেশের সঙ্গে আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নিশ্চিত করতে হলে বন বিভাগ ও ট্যুরিজম বোর্ডসহ বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা দরকার।

কর্মশালায় বন কর্মকর্তারা বলেন, সরকার সুন্দরবনকে ঘিরে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করছে। সুন্দরবনের ৫২ শতাংশে অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষদের বেঁচে থাকার জন্য যে কোনো মূল্যে সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে। এ অঞ্চলে চারটি ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র স্থাপনের চিন্তা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরে বক্তারা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটনভিত্তিক বিনিয়োগ জরুরি। সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রেখে পর্যটন বিকাশে পরিবেশ সুরক্ষায় বিশেষ পরিকল্পনা নিতে হবে। তারা বলেন, ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের পরিবেশের বিষয়ে সচেতনতার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ জরুরি।

কর্মশালায় সরকারি দফতরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, ট্যুর অপারেটরসহ এর সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর