বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘কেউ গুলি করলে আমরা তাকে ছাড় দেব না। আমরা আত্মাহুতির জন্য প্রস্তুত। আন্দোলনে গুলি চালানো হলে আমাদের আন্দোলনও ভিন্ন প্রক্রিয়ায় হবে। অবস্থা বুঝে আমরাও ব্যবস্থা নেব।’ গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রমনা ও শাহবাগ থানা বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন। জ্বালানি তেল, নিত্যপণ্যের দাম, গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো এবং পুলিশের গুলিতে ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে দলীয় নেতা-কর্মী নিহতের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আগে আমরা পল্টনে কর্মসূচি করতাম। পরে মুক্তাঙ্গনে আনা হলো। সেখানেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারপর আমরা প্রেস ক্লাবের সামনে করেছি, সেখানেও আজ কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি। আমরা এখন অলিগলিতে মিছিল করব। সরকারের ঠেকানোর ক্ষমতা থাকবে না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিএনপির মিছিল শুরু হয়েছে। এটা সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত শেষ হবে না। সরকার প্রচন্ড ভয় পেয়েছে। রাস্তাঘাটে পুলিশ। সাপ কখন ছোবল দেয়। যখন ভয় পায়। এই আওয়ামী লীগের অবস্থাও সাপের মতো হয়েছে। তারা ভয় পেয়ে ছোবল দিচ্ছে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে নির্বাচন মানি না। নতুন নির্বাচনকালীন সরকার হবে। সেই সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। তারপর নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেটা আদায় করে নিতে হবে।’
