শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার চাঁদাবাজি নিয়ে তদন্তে কেন্দ্র

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

কোটি টাকার চাঁদাবাজির ঘটনায় চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু জড়িত ছিলেন কি না তা তদন্তে কমিটি করেছে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবক     লীগের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাহুল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু ৮ সেপ্টেম্বর এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এই তদন্ত কমিটির দায়িত্বে আছেন সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার   ফারুক আমজাদ খান ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক একে আজিম।

ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আমজাদ খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সব কিছু যাচাই-বাছাই করেই দোষী নাকি নির্দোষ তার তথ্য প্রমাণ কেন্দ্রীয় কমিটিতে জমা দেওয়া হবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকার বাসিন্দা কুয়েত প্রবাসী বন্ধন নাথ ২০০৭ সালে পাঁচলাইশ থানাধীন পূর্ব নাসিরাবাদ মৌজায় ১৮ দশমিক ৩৭ শতক জায়গা কেনেন।

 পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য জমিটি দেন। পরের দিন ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে নিয়ে ওই জায়গায় যান বন্ধন নাথ। ওই জায়গার গেট আটকিয়ে বন্ধন নাথকে আটকে রাখেন একেএম নাজমুল আহসান, দেবাশীষ নাথ দেবুসহ ছয়জন। এ সময় তারা ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। বন্ধন নাথ এই টাকা দিতে পারবেন না বললে তাকে মারধর করে এবং পিঠে গুলি করে। এরপর হুমকি দিয়ে তিনটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই নেন আসামিরা। পরে ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আসামিদের চাঁদার টাকা পরিশোধের জন্য পাঁচটি চেক দেওয়া হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হলে পুনরায় কুয়েত চলে যান বন্ধন নাথ। কুয়েতে যাওয়ার পর চেকের মাধ্যমে আসামিদের ৭০ লাখ টাকা দেন তিনি। পরে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ওই জায়গায় কাজ শুরু করতে গেলে বাকি ৩০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেওয়া হয় এবং কাজে বাধা দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন বন্ধন নাথ। ওইদিনই দেবাশীষ নাথ দেবু এবং তার সাথী মঞ্জুরুল ইসলাম রতনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে সব আসামি জামিনে আছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর