আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল। ২০১৮ সালেও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। এখনো তারা একই পথে হাঁটছে। এই পথে হেঁটে বিএনপির কোনো লাভ হবে না। গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শরৎকালীন পর্বের নবীনবরণ ও পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির সাম্প্রতিক মিছিল-সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা গত কদিন ধরে দেখছি বিএনপি বাঁশের লাঠি, কাঠের লাঠি, লোহার রড নিয়ে মিছিল করছে।
তারা অতীতে জনগণ ও পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, গতকালও (বুধবার) মুন্সীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। ফলে সহজেই অনুমেয় এখন তারা নিজেরা আতঙ্কিত এবং তারা আবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
‘জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা সরকারের দায়িত্ব’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ রাষ্ট্রের কোনো এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সেই ব্যবস্থা মাঝে মধ্যে গ্রহণ করে যখন তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। সে কারণে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে তারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে আবার নিজেরা নিজেরা মারামারি করে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের সমাবেশ ভ-ুল করেছে। এ অবস্থায় আমাদের দলের কর্মীদের আমরা সতর্ক পাহারায় থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। কেউ জনগণের ওপর হামলা করলে, জনগণ প্রতিরোধ করলে সঙ্গে আমাদের দলও সহায়তা করবে।সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জীবনের পথে বহু যুদ্ধে লড়তে হয়। লক্ষ্যে অবিচল থেকে নিরন্তর সংগ্রাম ও অধ্যবসায়ই এই জীবনযুদ্ধে বিজয়ের মূল হাতিয়ার।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আবদুর রব খান, অধ্যাপক ড. জাভেদ বারী, অধ্যাপক ড. হাসান মাহমুদ রেজা, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ইয়াসমিন কামাল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দীন আহমদ সম্পাদিত ‘ফিফটি ইয়ারস অব বাংলাদেশ : আ টেল অব আ মিরাকল’ গ্রন্থের মোড়ক উšে§াচন করেন এবং ভর্তি পরীক্ষায় অধিক নম্বর পাওয়া ৫৯ জন শিক্ষার্থীর হাতে বিশেষ বৃত্তিসনদ তুলে দেন।
