শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

নগর স্বাস্থ্য ক্লিনিক ও মাতৃসদনে সেবা কার্যক্রমে অসন্তুষ্টি খুলনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত খুলনার নগর স্বাস্থ্য ক্লিনিক ও মাতৃসদনে সেবা কার্যক্রম নিয়ে অসন্তুষ্টি রয়েছে। এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়ার কথা থাকলেও ৭০ শতাংশ সেবাগ্রহীতা তা পান না। ক্লিনিক খোলা ও বন্ধের সময় নিয়েও সন্তুষ্ট নন ২৪ শতাংশ নাগরিক। এ ছাড়া সিজারিয়ান অপারেশনের ক্ষেত্রে বেশি টাকা নেওয়া হয়, গর্ভবতী নারীদের টিটেনাস টিকা বেশি দামে কিনতে হয়, বস্তিবাসীরা অবজ্ঞার শিকার হন। ক্লিনিকগুলোতে বেশির ভাগ ওষুধই পাওয়া যায় না ও দক্ষ চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। খুলনা সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণে থাকা ২৭টি ক্লিনিক ও একটি নগর মাতৃসদনের ওপর সামাজিক জরিপ কার্যক্রমে এ চিত্র উঠে এসেছে। গত ২১ আগস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর ও দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহায়তায় জরিপটি পরিচালনা করেছে নাগরিক ফোরাম। এতে বলা হয়, ক্লিনিকগুলোতে কেসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো ধরনের তদারকি নেই। যার কারণে দিন দিন অব্যবস্থাপনা বাড়ছে। কেসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে নাগরিক ফোরামের পরামর্শ সভায় এই জরিপ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। এ সময় কেসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফ শাম্মীউল ইসলাম ও নাগরিক ফোরাম খুলনা নগরের সদস্য সচিব সেলিনা আক্তার উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, কেসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় ৩১টি ওয়ার্ডের ২৭টিতে নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ৩টি মাতৃসদন আছে।

 এর মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডে সূর্যের হাসি ক্লিনিক এবং ১২টি ওয়ার্ডে রংধনু ক্লিনিক রয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে ৩টি এনজিও এগুলো পরিচালনা করে।

সভায় সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, দীর্ঘদিনের অবহেলার কারণে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর এই দুরবস্থা। তিনি কেসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, খুলনা মহানগরীর মানুষের করের টাকায় আপনাদের বেতন হয়। তাদের দুর্ভোগ লাঘব করতে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন। না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। নাগরিকদের সহযোগিতা ছাড়া এ কাজ সফল হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর