বরিশালে চন্ডীপাঠ ও আগমনী গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ মহালয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় দুর্গাপূজার। গতকাল সকাল ৬টায় বরিশাল নগরীর স্বরোডের রাধা গোবিন্দ নিবাস মন্দিরে মহালয়া উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ৬টায় প্রদীপ প্রজ্বালন ও উলুধ্বনির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। পরে মহিষা সুরমর্দিনী নাটিকা উপস্থাপন করা হয়।
হিন্দু শাস্ত্রমতে এই দিনে পিতৃলোকে ফিরে যান পূর্বপুরুষরা। এই সময় প্রয়াত পূর্বপুরুষের আত্মা পৃথিবীর খুব কাছে বিরাজ করে। এই সময় পিতৃপুরুষের তর্পণ করা হলে সব উদ্দেশ্য সফল হয় বলে বিশ্বাস সনাতন ধর্মের বিশ্বাসীদের। ভক্তরা জানান, কৈলাসের শ্বশুরালয় ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে পৃথিবীতে আসেন দেবী দুর্গা। মন্ডপে দুর্গাপূজার ক্ষণ গণনাও শুরু হয় এদিন থেকে। পয়লা অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজার মূল আন্ষ্ঠুানিকতা শুরু হবে।
প্রভাতী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তমাল মালাকার ও সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল দাস পাম্পা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মানিক মুখার্জি, বরিশাল মাদকদ্রব্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক পরিতোষ কুন্ডু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কাজল ঘোষসহ অন্যরা। রাধা গোবিন্দ নিবাস পূজা উদযাপন পর্ষদের সভাপতি পিন্টু দাস জানান, বরিশালের শুধু একটি মন্দিরেই মহালয়া উপলক্ষে বর্ণিল আয়োজন করা হয়েছে। এই দিনেই দেবীপক্ষ শুরু হয়েছে। মর্ত্যলোকে শান্তি ফেরাতে ব্রহ্মা দেব এই দিনে দেবী দুর্গাকে মহিষাসুরকে বধের অনুমতি দেন। টানা ৯ দিন যুদ্ধের পর মহিষাসুরকে বধ করেন দেবীদুর্গা।এবার বরিশাল জেলায় ৬০০টি এবং মহানগরে ৪৫টি মন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে বলে পূজা উদযাপন কমিটি সূত্র জানিয়েছে।
