বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজার (লন্ডন স্টেশন) আখতার উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিমানের প্রায় ১ কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদী হয়ে গতকাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের আভ্যন্তরীণ তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়- আখতার উদ্দিন আহমেদ বিমানের লন্ডন স্টেশনে কান্ট্রি ম্যানেজার থাকাকালে ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সিটি অফিসের জন্য অফিস ইকুইপমেন্ট ও টেলিফোন সিস্টেমের জন্য ত্রৈমাসিক ২ হাজার ১২৫ পাউন্ড স্টার্লিং ভাড়ার ভিত্তিতে তিনটি কোম্পানির সঙ্গে লিজ চুক্তি ছিল, যার মেয়াদ ছিল ফেব্রুয়ারি, ২০০১ পর্যন্ত। কিন্তু তিনি এবি সার্ভিসেসের পক্ষে কেভিন লুইসের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই বিরাজমান সব চুক্তি অবসান করে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। দুদকের অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, বিমানের নিয়মবহির্ভূত নতুন চুক্তিতে ত্রৈমাসিক ভাড়া আগে নির্ধারিত ২ হাজার ১২৫ পাউন্ডের স্থলে ১০ হাজার ৫০৬ পাউন্ড নির্ধারণ করেন।
ব্যাংক হিসাব খাত থেকে সরাসরি ডেবিট পদ্ধতিতে ভাড়া পরিশোধের শর্ত অন্তর্ভুক্ত আগের চুক্তিতে না থাকলেও তিনি নতুন নিয়ম চালু করেন। এ ছাড়া আখতার উদ্দিন আহমেদ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন না নিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে কেবিন লুইসের বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং ওই চুক্তির অধীনে ভাড়া দেওয়া বন্ধ রাখেন। কিন্তু চুক্তিপত্রে আখতার উদ্দিন আহমেদের স্বাক্ষর থাকায় সব পক্ষের সম্মতিতে প্রতি ত্রৈমাসিক ৭ হাজার ১৫৬ ইউকে পাউন্ড ভাড়া পরিশোধ নিষ্পত্তি হয়।
এভাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনবহির্ভূত চুক্তিপত্রের ভিত্তিতে এপ্রিল, ২০০৪ পর্যন্ত লিজ রেন্ট বাবদ বিমানকে ১ লাখ ২০ হাজার ৭৪৪ ইউকে পাউন্ড সমপরিমাণ ৯৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪০ টাকা পরিশোধ করে বিমানের আর্থিক ক্ষতি সাধন করা হয়। বিমানের বিপুল অঙ্কের এ আর্থিক ক্ষতি সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
