রাজধানীতে শুরু হলো রেডিয়েন্ট বনসাই সোসাইটির তিন দিনের প্রদর্শনী। এটি তাদের নিয়মিত বার্ষিক আয়োজনের দ্বাদশ প্রদর্শনী। ১ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত দামের বিভিন্ন প্রজাতির বনসাই প্রদর্শন করা হচ্ছে। দর্শনার্থীরা চাইলে বনসাই কিনতেও পারবেন।
গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে শুরু হয় এ প্রদর্শনী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোসাইটির সভাপতি গুলসান নাসরীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রোটারি ইন্টারন্যাশনালের ৩২৮১ ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ইঞ্জিনিয়ার এম এ ওয়াহাব ও ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা। ডা. দীপু মনি বলেন, ‘দেশের বনসাই শিল্প জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে রেডিয়েন্টের পরিশ্রম নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। বনসাই শিল্পীরা নিজেদের ভালোবাসা থেকে সময়, পরিশ্রম আর নিষ্ঠা দিয়ে বনসাই তৈরি করে চলেছেন। নগরে সবুজের সমারোহ কমে গেলেও এ কারণে কিছুটা হলেও ঘরের ভিতরেই আমরা সবুজ পাচ্ছি। প্রকৃতিকে নতুন করে কাছে পাচ্ছি। বাসাবাড়িতে বনসাই যত বেশি স্থান পাবে তত সৌন্দর্যের পাশাপাশি অক্সিজেনের ঘাটতিও কমে যাবে। তাই পরিবেশ সুরক্ষায় বাড়িগুলো বনসাই দিয়ে সাজানো উচিত।’ গুলসান নাসরীন চৌধুরী বলেন, ‘বনসাই খুব ছোট্ট পাতার এবং দীর্ঘদিন বাঁচে এমন গাছ দিয়ে করা হয়। তবে আমাদের চেষ্টা থাকে বিলুপ্তপ্রায় দেশি গাছগুলো সংরক্ষণের। সজীব-সতেজ বনসাই শহরের মানুষের কাছে তুলে ধরাই এ প্রদর্শনীর লক্ষ্য।’
ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাড়িতে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত প্রদর্শনী।
সরগমের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : আলোচনা, শুভেচ্ছা প্রদান, কেক কাটা ও সংগীতের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠার ২৭তম বার্ষিকী উদ্যাপন করেছে দেশের সংগীতবিষয়ক একমাত্র পত্রিকা ‘সরগম’। গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জের এ আয়োজনে কাজী রওনক হোসেন সম্পাদিত সরগমকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বংশীবাদক ক্যাপ্টেন (অব.) আজিজুল ইসলাম, শিল্পী খুরশিদ আলম, সুরকার লোকমান হাকিম, লোকশিল্পী আকরামুল ইসলাম, শিল্পী করিম শাহাবুদ্দিন, সাবেক সচিব ও সিএজি বাংলাদেশ মাসুদ আহমেদ, গীতিকার শহিদুল্লাহ ফরায়জি প্রমুখ। সরগম সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে। এরপর দেশ-বিদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রয়াতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা পর্বের পর কেক কাটা হয়। এরপর শুরু হয় সংগীত পর্ব।