বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সমাধানে ধৈর্য ধরা ছাড়া কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। গতকাল বিকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, আমাদের ক্যাপাসিটি অনেক আছে কিন্তু জ্বালানির ঘাটতির জন্য আমরা পারছি না। এর সঙ্গে একটি গ্রিড ফেল করেছিল। গ্রিড রিভাইভ করতে সময় লাগে। আমাদের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে রিভাইভ হয়েছিল। গত বছর পশ্চিমবঙ্গের দিকে একটা গ্রিড ফেল করেছিল প্রায় ২৩০ মিলিয়ন লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাও অনেক সময় লেগেছিল। আমাদের সরকার সব সময় এ ব্যাপারে সচেতন। আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন, ইনশাআল্লাহ যদি বিশ্ব পরিস্থিতির উন্নতি হয় তাহলে তো আর কোনো প্রশ্ন ওঠে না। না হলে জ্বালানি ঘাটতির জন্য আমাদের কষ্ট করতে হবে। আরও কত দিন এই বিদ্যুৎ সংকট থাকতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ধারণা ছিল ইউক্রেন যুদ্ধ এতদিন চলবে না।
ভেবেছিলাম এই সময়ের মধ্যে আমাদের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চলে আসবে। আমার অ্যাসেসমেন্ট ছিল কয়লাভিত্তিক দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শীতে আসার কথা। একটি ঝাড়খন্ড থেকে আর আরেকটা রামপাল। কিন্তু দুটিই পিছিয়ে গিয়েছে। রামপাল এ বছরের শেষে আসতে পারে আর ঝাড়খন্ড আগামী বছরের শুরুতে আসতে পারে। ফলে ৩-৪ মাস অপেক্ষা করতে হবে। শীত হলে হয়তো কিছুটা চাহিদা কমবে। সে হিসাবে কষ্ট একটু কমতে পারে কিন্তু আমাদের ধৈর্য ধরা ছাড়া উপায় নেই।
তিনি আরও বলেন, ভোলায় আমাদের কিছু গ্যাস বসে আছে। সেই গ্যাসগুলো সিএনজি করে এদিকে আনতে পারি কি না সেই চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি, ৮০ এমএমসিএফটির মতো গ্যাস আমরা ভোলা থেকে আনতে পারব।