আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের ৯০তম সাধারণ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত যাচ্ছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সম্মেলনে চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন আইজিপি। ভারতের নয়া দিল্লিতে এ সম্মেলন আগামী ১৮ থেকে ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর ইন্টারপোলের ৮৯তম সাধারণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় তুরস্কে।
গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা-১ থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে সই করেন উপ-সচিব মো. শামীম হাসান।
ইন্টারপোলের ৯০তম সাধারণ সম্মেলনে আইজিপি ছাড়াও যাচ্ছেন আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তা। তারা হলেন- পুলিশ সদরদফতরের ডিআইজি (অপারেশনস) মো. হায়দার আলী খান, পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (এনসিবি) মোহাম্মদ এহসান সাত্তার ও আইজিপির স্টাফ অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল-আমিন সরকার।
পুলিশ সদরদফতর সূত্র জানায়, সম্মেলনে ইন্টারপোলের ১৯৪টি দেশের পুলিশ প্রতিনিধিরা বর্তমান বিশ্ব নিরাপত্তা পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক ও আন্তরাষ্ট্রীয় অপরাধ পর্যবেক্ষণ, সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ, মানি লন্ডারিং, অর্গানাইজড ক্রাইম, সাইবার অপরাধ, পর্নোগ্রাফি, নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানিসহ নানা অপরাধসংক্রান্ত ডেটা ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়ন, পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন কৌশল নির্ধারণ করবেন।
এ ছাড়া সম্মেলনে আন্তরাষ্ট্রীয় অপরাধ শনাক্ত ও দমন কৌশলে পারস্পরিক সহযোগিতা, পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ চলমান ও ভবিষ্যতে উদ্ভূত অপরাধবিষয়ক নানা পরিস্থিতি ও সংকট নিরসনে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা ও মতবিনিময় করা হবে।
নবনিযুক্ত আইজিপিকে ডিএমপির সংবর্ধনা : নবনিযুক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল সকালে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়াম, রাজারবাগে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএমপির পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত আইজিপিকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন ডিএমপি কমিশনার। এর আগে সুসজ্জিত অশ্বারোহী দল আইজিপিকে অভ্যর্থনা জানায়। এরপর তিনি সশস্ত্র অভিবাদন গ্রহণ করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ অফিসাররা অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় ডিএমপি সদস্যদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইজিপি বলেন, ডিএমপি বাংলাদেশ পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট। ডিএমপি অক্লান্তভাবে পরিশ্রম করে। ডিএমপি যেভাবে কাজ করে তা দেশি-বিদেশি সব মানুষের কাছে দৃশ্যমান থাকে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতি ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, ডিএমপি পরিবারের পক্ষ থেকে আইজিপিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ এই রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকেই করা হয়েছিল। তাঁদের আত্মত্যাগের কথা আমরা মনে রেখে কাজ করে থাকি।
কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ মানুষের জন্য কাজ করে। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ববোধ ডিএমপির আছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ ভালো কাজ করলে সারা দেশ ভালো চলে। ডিএমপি এ গর্ব ও ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে থাকে। ঢাকা মহানগরে কোনো অপরাধ সংগঠিত হলে ডিএমপির অফিসাররা তা উদঘাটন না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত হন না।