রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জে নিয়মিত মামলার এক আসামিকে ধরতে গেলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, ককটেল নিক্ষেপসহ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন।
ঢাকায় গতকাল সন্ধ্যার পর দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে ফাঁকা জায়গায় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। কে বা কারা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে পুলিশ বলছে, বিএনপি নেতা-কর্মীরাই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিএনপির দফতরে সংযুক্ত থাকা কেন্দ্রীয় নেতা তারিকুল ইসলাম তেনজিং এ বিষয়ে বলেন, ‘সন্ধ্যার পর পার্টি অফিসের সামনে ফাঁকা জায়গায় রাস্তায় একটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে বলে শুনেছি। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৬টার পর এ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। তাদের অনুমান, চলন্ত গাড়ি থেকে কেউ ককটেল নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। এ বিষয়ে ডিএমপির পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহ উদ্দীন মিয়া জানান, সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার সময় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের বহু নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ককটেল বিস্ফোরণের পর তারা মিছিল বের করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ ঘটনায় চার-পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাদের সংশ্লিষ্টতা যাচাই করা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে নিয়মিত মামলার এক আসামিকে ধরতে গেলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, ককটেল নিক্ষেপসহ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ, শটগানের ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত হন। তারা হলেন- এসআই মজিবুর রহমান, এএসআই ফজলুল হক, এএসআই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও কনস্টেবল আজাদ হোসেন কবীর। তাদের হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- বিল্লাল হোসেন (২৩), নাঈম হোসেন নিয়াজি (১৭), তানভির হাসান রানা (৩০), শাহ আলম (৩৪), সোহরাব উদ্দিন (৫৬), ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা সারোয়ার সুমন (৪৩) ও রিপন মাস্টার (৪৫)।
হোসেনপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান টিটু জানান, সন্ধ্যার দিকে নতুন বাজার এলাকায় বিএনপি কার্যালয়ে বিএনপি প্রস্তুতিসভা করে। সভা শেষে বিএনপি নেতাকর্মীরা কুড়িঘাট মোড়ে অবস্থান নেন। পুলিশের কাছে সংবাদ ছিল, খুররম খান নামে নিয়মিত এক মামলার আসামি সভাস্থলে রয়েছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হন। তারা পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
