নির্বাচনই গণতন্ত্রের শেষ কথা বলে মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিএনপি প্রসঙ্গে বলেছেন, রাজপথে আন্দোলন করে কাউকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে না। বিএনপি বড় রাজনৈতিক দল। আন্দোলন তারা করবে। রাজপথে আন্দোলন করে কেউ কাউকে সরিয়ে দেবে, এটা সম্ভব নয়। তাদের প্রতি আহ্বান, আগামী নির্বাচনে তাদের আসা উচিত। তাহলেই দেশ শান্তিতে থাকবে। গতকাল তিন দিনের সফরে রংপুরে এসে ডায়াবেটিস সমিতির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই ফেয়ার নির্বাচন হোক। মুখে বলব ফেয়ার হোক, আর কাজ করব অন্যটা, সেটা তো হবে না।

 সাধারণ মানুষ যেমনটা চায় তেমনটাই হোক। এলাকার উন্নয়নও হোক। আওয়ামী লীগ বড় দল, সে কারণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে রংপুর সিটি নির্বাচনে খারাপ ফলাফল হওয়ার কথা নয়।’

এই ধারা অব্যাহত থাকলে অন্য ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কি না, এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে বিশেষ বিবেচনায় আটটি জরুরি পণ্যের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে অন্য ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ যারা বাকিতে আমদানির সুবিধা পাবেন তাদের তারা যেন ডেফার্ড পেমেন্ট বা ছয় মাসের মধ্যে পেমেন্ট দিতে পারেন এমন শর্ত রয়েছে।

টিপু মুনশি বলেন, ‘ডলারের যা দাম বেড়েছে তাতে আমাদের আমদানিপণ্যের ওপর কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে এখনো মূল্যস্ফীতি কমই আছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আছে। সব মিলিয়ে অন্য দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি।’

তিনি বলেন, ‘গত সাত মাসে বিদ্যুতের ব্যবহার ৪০-৪৫ ভাগ কম হয়েছে। আমদানি ও রপ্তানিতে ব্যবধানটা কমে এসেছে। আমরা গাড়িসহ বিভিন্ন বিলাসবহুল পণ্যের আমদানি কমিয়ে এনেছি। চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ যেসব পণ্য আমদানি করতে হয়, এগুলোর দাম তো বিশ্ববাজারের ওপর নির্ভর করে। এটা কখন কমবে বা বাড়বে বলা বড় মুশকিল।’ টিসিবি এক কোটি পরিবারকে পণ্য দিচ্ছে। এটা চলমান থাকবে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক জাসেম বিন জুম্মন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রনি প্রমুখ।