বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ভারতে করোনা সংক্রমণে আতঙ্ক সীমান্তে

বেনাপোল-হিলিতে সতর্কতা, মেডিকেল টিমের কাজ শুরু

প্রতিদিন ডেস্ক

ভারতে করোনা সংক্রমণে আতঙ্ক সীমান্তে

ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তে এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই ভাইরাস যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ভারত থেকে আগত যাত্রীদের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ নির্দেশনা অনুসারে বেনাপোল ও হিলিতে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। হিলি চেকপোস্টে মেডিকেল টিম কাজ শুরু করেছে। প্রতিনিধিরা এ খবর পাঠিয়েছেন। বেনাপোল : ভারত থেকে নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে ফিরতে শুরু করেছে চিকিৎসা এবং ভ্রমণ ভিসাধারী অনেক পাসপোর্ট যাত্রী। বেনাপোল চেকপোস্টে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। সোমবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো এক চিঠিতে বন্দর এলাকায় সতর্কতা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী। এতে আগত যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার ও সব সন্দেহজনক যাত্রীকে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার কথা বলা হয়েছে। তবে বন্দরে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। সরেজমিনে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের ভয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে  ভারত থেকে দেশে ফিরেছে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ যাত্রী। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কলকাতাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থানরত যাত্রীদের মধ্যে। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে ফিরতে শুরু করেছে যাত্রীরা। ভারত-ফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রী আলী আফজাল জানান, সংক্রমণে  কলকাতায়  সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত  হয়ে পড়েছে। এদিকে করোনাঝুঁকিতে শুধু ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এলাকায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া  হলেও  দুই দেশের বন্দর এলাকায় কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। ফলে মাস্ক ছাড়াই অবাধে বেনাপোল বাজারসহ বন্দর এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ভারতীয় ট্রাকচালক ও খালাশিরা। কোনো সতর্কতা ছাড়াই বেনাপোল বন্দর এলাকায় ভারতীয় ট্রাক শ্রমিকদের অবাধ চলাচলে আতঙ্কিত বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন।

হিলি (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্যবিভাগের মেডিকেল টিম। করোনা টিকার সনদ দেখা মাস্ক ও স্যানিটাইজ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন সেই টিম। গতকাল সকাল থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে হেলথ স্ক্রিনিং বুথের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পাসপোর্টধারী যাত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা যারা ভারতে যাচ্ছি বা ভারত থেকে দেশে ফিরছি আমাদের মাস্ক ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। হাত স্যানিটাইজড করার কথা বলা হচ্ছে। আবার করোনার টিকা নিয়েছি কি না সেই সনদ দেখে নিশ্চিত হয়ে তারপর ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া কারও মধ্যে কোনো ধরনের জ্বর-সর্দি আছে কি না তাও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে স্থাপিত মেডিকেল টিমের স্বাস্থ্য সহকারী জাহাঙ্গির আলম বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে দুই দেশে যাতায়াত করা পাসপোর্ট যাত্রীদের ভ্যাকসিন সনদ দেখা হচ্ছে। কারও কোনো ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে তার র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর