শিরোনাম
শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মেঘনা সিমেন্টের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেঘনা সিমেন্টের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তা বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড। গতকাল ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির ৩০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ২০২১-২২ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে এ লভ্যাংশ অনুমোদন করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটি। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আলোচ্য বছরের নগদ শেয়ার লভ্যাংশ ও বোনাস শেয়ার ঘোষণাকে কোম্পানির সাফল্যের ইতিবাচক প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন শেয়ারহোল্ডাররা। একই সঙ্গে সন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা। সাধারণ সভায় কোম্পানির ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা ময়নাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নিরপেক্ষ পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল করিম, কোম্পানির পরিচালক পর্ষদের পক্ষে মেজর জেনারেল (অব.) মাহবুব হায়দার খান, মো. ফখরউদ্দিন, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকি, কোম্পানি সচিব মো. আসাদুজ্জামানসহ বিধিবদ্ধ নিরীক্ষকরা।

 এ সময় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার ভার্চুয়ালি বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় কোম্পানির ২০২১-২২ সালের বার্ষিক বিবরণী, আর্থিক হিসাব ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়।

কোম্পানির পরিচালক পর্ষদের পক্ষে মো. ফখর উদ্দিন ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী তুলে ধরে বলেন, শুরু থেকেই মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। দেশের চলমান উন্নয়ন ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামীতে সিমেন্টের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পাবে। পরিচালনা পর্ষদ ‘বীর সিমেন্ট’ নামে ইতোমধ্যে নতুন একটি ব্র্যান্ড গ্রাহকসমাজে উপস্থাপন করেছেন, যা ভোক্তাদের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তিনি বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে মেঘনা সিমেন্টের নিট বিক্রি ছিল ৮২৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা; যা ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ১৩৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা কম হওয়া সত্ত্বেও মুনাফা বেড়েছে। শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৯৫ পয়সা, যা ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৪৬ পয়সা। সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানিনির্ভর। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সিমেন্ট শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ডলারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধিতে কাঁচামাল আমদানি কমে গিয়েছিল। এতে কোম্পানি পরিচালনায় নিট নগদ প্রবাহ কমে গেছে। আশা করছি অতিসত্বর বিশ্বব্যাপী বিরাজমান অস্থিরতা শেষ হবে এবং কাঁচামাল আমদানির সব বাধা দূর হবে।

কোম্পানির ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, দেশের সার্বিক প্রতিকূল পরিস্থিতি ও বিরাজমান মন্দাবস্থা সত্ত্বেও কোম্পানির সাফল্যের ধারা বজায় রাখার পেছনে অবদান রাখা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিরলস সেবাদানকে আমি আন্তরিকতার সঙ্গে স্মরণ করছি। সবার ঐকান্তিক সহযোগিতায় পণ্যের গুণগত মান বজায় রেখে ভবিষ্যতেও কোম্পানির সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে পারব বলে বিশ্বাস করি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর