শিরোনাম
শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংসদে প্রশ্নোত্তর

সরকারি কর্মচারীদের ৫৪৫ ফ্ল্যাট খালি

তিন মেয়াদে ৭৯৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ চার মেডিকেল, ৫৮ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা

নিজস্ব প্রতিবেদক

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, বর্তমানে সরকারি কর্মচারীদের বসবাসের জন্য ঢাকা মহানগরীতে নির্মিত ৫৪৫টি ফ্ল্যাট খালি রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার মিরপুরের ৬ নম্বর সেকশনে উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার (চাকরি গ্রেড-৫) জন্য নির্মিত এফ ক্যাটাগরির ১, ২, ৩, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর ভবনের ৪০১টি ফ্ল্যাট খালি রয়েছে। একইভাবে ঢাকার মিরপুরের ৬ নম্বর সেকশনে উপসচিবের নিচের মর্যাদার (চাকরি গ্রেড-৬) জন্য নির্মিত ই-ক্যাটাগরির ১৪৪টি ফ্ল্যাট খালি রয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর গতকালের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের মহিলা এমপি সৈয়দা রুবিনা আক্তারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।

তিন মেয়াদে ৭৯৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংসদে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের গত তিন মেয়াদে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৭৯৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদে গতকাল টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সৈয়দা রুবিনা আক্তারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ৩৪৫টি স্কুল, ৩৫৯টি কলেজ, ৫৩টি স্কুল ও কলেজ এবং ৮০টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ করা হয়।

তিন মেয়াদে ৫৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা : জাতীয় পার্টির এমপি সৈয়দ আবু হোসেনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি জানান, দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৩টি। আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদে সরকার ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। এ ছাড়া নয় জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা: রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের অলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি পর্যুদস্থ হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতা ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে দেশের অর্থনীতি ঠিক আছে, মুদ্রাস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে আছে। দেশ এগিয়ে চলেছে।

অপরদিকে সংসদে বিরোধী দলের সদস্যরা বলেন, আবারও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করার কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম আরেক দফা বাড়াবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে সরকারের উচিত ছিল বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি, সিস্টেম লস, অনিয়ম বন্ধ করা। কিন্তু তা না করে বরাবরের মতো সরকার  আবারও উল্টো পথে হাঁটল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর