সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
ফেব্রুয়ারিতে আসছে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল

ভারতের বিনিয়োগ গন্তব্য হতে পারে বাংলাদেশ

শাহেদ আলী ইরশাদ

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গেল বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত সফর করার সময় দেশটির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের যে আহ্বান জানিয়ে ছিলেন, তাতে তারা সাড়া দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে ভারত চেম্বার অব কমার্স সভাপতির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আগামী মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে ব্যবসায়ী, আমলা ও মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবে প্রতিনিধি দলটি।

ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য চট্টগ্রামের মিরসরাই ও বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক জুয়েলারি ব্র্যান্ড মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড। এখানে প্রায় ১ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বাংলাদেশের বস্ত্র, জুয়েলারি, কেমিক্যাল, ওষুধ, পাওয়ার, এগ্রোবেইজড ইন্ডাস্ট্রি, মেশিনারি খাতে ভারতীয় বিনিয়োগ রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রীর ভারত সফর করার সময় দেশটির শিল্পপতিদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক ভাবনায় বাংলাদেশকে সংযুক্ত করুন। ব্যবসা-বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ এখানেই। বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনার উজ্জ্বল দিকগুলো তুলে ধরেছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বাণিজ্যমন্ত্রীর ভারত সফরের পর আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসছে ভারত চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের একটি প্রতিনিধি দল। ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, সিল্ক, জুট, আবাসন, পর্যটন, ওষুধ, জুয়েলারি, চামড়া, প্রকৌশল খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বিজনেস মিটিং করবেন। এ ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।

ভারত চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এন জি খাইতান এক চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প সোনার বাংলা বাস্তবায়নে বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট দুই দেশের বাণিজ্য ও শিল্পের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ প্রদান করেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে ভারতে বৈঠক করে আমরা অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ সফরের উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃঢ় থেকে দৃঢ় হয়ে উঠছে, তখন উভয় দেশের বাণিজ্য ও শিল্প যোগাযোগের মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও সমৃদ্ধ হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর