সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে নোমানকে ঘিরে চাঙা ভাব বিএনপিতে

রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে নোমানকে ঘিরে চাঙা ভাব বিএনপিতে

শঙ্কা, দ্বন্দ্ব ও জড়তা কাটিয়ে চট্টগ্রাম বিএনপির নবউজ্জীবন ঘটানোর চ্যালেঞ্জ নিলেন চট্টগ্রামের প্রবীণ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি কিংবা জেলার রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিরুত্তাপ ছিলেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান। এবার তাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয় শুক্রবার আয়োজিত দলটির ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা’ বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমাবেশের। এটির মধ্য দিয়ে ফের চাঙ্গা ভাব দেখা দিয়েছে বিএনপিতে। একইসঙ্গে তৃণমূলেও লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে নির্বাচনী ঢেউ। ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে থেকে আসা মিছিলেও উঠেছে নির্বাচনী স্লোগান। মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশটিতে সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বেশি সমাগম ঘটে। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিও ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বহুদিন পর নোমানকে ঘিরেই বিএনপি যেন হাঁক দিয়ে উঠল চট্টগ্রামে। সংঘাত উত্তেজনা শঙ্কাও যেন ম্লান হয়ে উঠল এই হাঁক ডাকে। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা জানান, নোমান দলের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব সন্দেহ জড়তাকে দূরে ঠেলে নতুন করে জাগরণ ঘটিয়েছেন এ সমাবেশটির মধ্য দিয়ে। বহুদিন পর এমন একটি সমাবেশ উপহার পেল দলটি।

বিএনপি শুরু থেকে লালদীঘি মাঠ অভিমুখে সমাবেশ করতে চেয়েছে। এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে দেন দরবারও হয়। আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, লালদীঘির পাশে জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে ও কাজির দেউড়ি চত্বরেও শেষতক অনুমতি না পেয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই ‘শান্তিপুর্ণ সমাবেশে’র জন্য পুলিশের অনুমতি মেলে। নানা স্থানে বাধার সম্মুখীন হলেও তৃণমূল পর্যন্ত এই সমাবেশের আমন্ত্রণ বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় বলে স্বীকার করেন এই শীর্ষ নেতা। তাঁর মতে, এর জনসমাগম ‘সরকারের প্রতি মানুষের অনাস্থারই বহির্প্রকাশ।’

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগরে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির দুই নেতা শাহাদাত হোসেন ও আবুল হাশেম বক্কর স্বস্তিতে নেই দীর্ঘদিন। তাদের কমিটির বাইরেও কয়েকটি সমন্বয় কমিটি করা হয়েছে। এ নিয়ে চলছে স্বাভাবিক দ্বন্দ্ব। এর ওপর মহানগর নেতৃত্বে আসতে ইচ্ছুক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এরশাদ উল্লাহসহ পুরনো নেতাদেরও আছে পৃথক বলয়। প্রাক্তন সভাপতি মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সন্তান কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মীর হেলালও উত্তর জেলার রাজনীতির পাশাপাশি মহানগরে তৈরি করেছেন নিজের অবস্থান। এরকম চতুর্মুখী দ্বন্দ্বের মধ্যেও সিনিয়র নেতা নোমান নিজেকে বিতর্কের বাইরে রাখতে চেয়েছেন দীর্ঘদিন। কিন্তু এখন নিজেকে ‘সেল্ফ মেইড ম্যান’ উল্লেখ করে বিএনপির বিভক্তি প্রশ্নে আবদুল্লাহ নোমান জানিয়েছেন, ‘রাজনীতি যতদূর বুঝি, ততটুকুই করি। বিভক্তির পথে হাঁটি না। বাস্তববাদী আমি। নিছক স্বপ্ন বিলাসীও না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর