বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

উত্তপ্ত হচ্ছে চট্টগ্রামের রাজপথ

শহর ছেড়ে গ্রামেও রাজনীতির উত্তাপ

আজহার মাহমুদ, চট্টগ্রাম

উত্তপ্ত হচ্ছে চট্টগ্রামের রাজপথ

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রামের রাজপথ উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। নগর ছাড়িয়ে এই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে প্রত্যন্ত গ্রামেও। দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসূচি ঘিরে সরব হচ্ছেন চট্টগ্রামের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। একই দিন আওয়ামী লীগ প্রত্যন্ত ইউনিয়নগুলোতে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। নগর এলাকাগুলোতে এই ধরনের কর্মসূচি হরহামেশা দেখা গেলেও গ্রামে এমন কর্মসূচি কম। ফলে নতুন করে গ্রাম এলাকার এই কর্মসূচি ঘিরে প্রত্যন্ত এলাকার নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে একই দিনে সমাবেশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি। ওই দিন সারা দেশে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের অংশ হিসেবে কাজীর দেউড়িতে সমাবেশ করে দলটি। একই দিনে ১ কিলোমিটার দূরে নগরীর আন্দরকিল্লায় শান্তি সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। দুই সমাবেশে দুই দলের কেন্দ্রের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মূলত ওই দিনের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা নতুন কর্মসূচিতে যেতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে। আবার বিএনপিকে প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগও কোমর বেঁধে মাঠে নামছে। ফলে দীর্ঘদিন পর চট্টগ্রামের রাজপথে রাজনৈতিক উত্তাপের আঁচ লাগতে শুরু করেছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা শান্তি সমাবেশের পাশাপাশি র‌্যালিসহ অন্যান্য কর্মসূচিও পালন করব। প্রজেক্টরের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড জনগণের কাছে তুলে ধরব। বিএনপি কর্মসূচির নামে নাশকতা করার সুযোগ পাবে না।’ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীরা এক একটি ইউনিয়নের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে। আওয়ামী লীগ উন্নয়নের নামে যে লুটপাট চালাচ্ছে তা জনগণকে বোঝানো হবে। এই কর্মসূচি থেকে সরকার পতনের জন্য তৃণমূলের জনগণ যুক্ত হতে শুরু করবে।’ জানা গেছে, চট্টগ্রামে ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশে কেন্দ্রের দুই নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ উত্তর চট্টগ্রামের শান্তি সমাবেশে অবস্থান করবেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণে অবস্থান করবেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর