মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফতুল্লায় বিস্ফোরণে দগ্ধ সুখীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় সুখী আক্তার (২৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোর ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান তিনি। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জে আগুনের ঘটনায় সুখী আক্তারের শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ হয়। ভোরে মারা যান তিনি। একই ঘটনায় সুখীর স্বামী আল আমিন (৩০) ৯৫ শতাংশ ও রফিক মিয়া (৪৫) ১২ শতাংস দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে রবিবার দুপুর ১টায় ফতুল্লা লামারবাগ মেট্রো গার্মেন্ট সংলগ্ন একটি দোতলা বাড়ির নিচের তলায় এ বিস্ফোরণ ঘটে।

এতে সুখী আক্তারসহ দগ্ধ হন তার স্বামী গার্মেন্টকর্মী আল আমিন হোসেন (৩০), পাশের বাসার ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগম (৬০), তার ছেলে জামাল হোসেন (৪০) এবং রফিক মিয়া (৪৫)।

বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, ফতুল্লায় ওই বাড়ির নিচতলার একটি রুমে ভাড়া থাকেন আল আমিন ও সুখী। দুজনেই গার্মেন্টকর্মী। ওইদিন দুপুরে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে খাবার গরম করার জন্য রান্না ঘরে যান তারা। সেখানে দিয়াশলাই জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তাদের দুজনের শরীর পুড়ে যায়। পাশের রুমে থাকা আলেয়া বেগম, তার ছেলে এবং রাজমিস্ত্রি রফিক মিয়াও দগ্ধ হন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। আল আমিনের বাড়ি পটুয়াখালীর সদর উপজেলার আলিয়াপুর গ্রামে। তার বাবার নাম শহিদ। আল আমিন ও সুখীর একমাত্র ছেলে গ্রামের বাড়িতে থাকে।

দগ্ধ আলেয়া বেগম জানান, রান্নাঘরটিতে কয়েকদিন গ্যাস লিকেজের শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। এ জন্য চুলাতে গ্যাস বের হতো না। লিকেজ হওয়া গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর