বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি খাতের উন্নয়নে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চায় প্রাণিসম্পদ দফতর। প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা সম্ভাবনা চিহ্নিত ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে তথ্য প্রচারের মাধ্যমে উৎপাদন-বিপণন ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবেশ তৈরির সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে উন্নয়ন সাংবাদিকতায় আগ্রহী হতে হবে গণমাধ্যমকর্মীদের। একই সঙ্গে প্রাণিসম্পদ দফতরকেও তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে আন্তরিক হতে হবে।

গতকাল খুলনায় দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত, সমস্যা ও সম্ভাবনা : গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক বিভাগীয় কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘পরিপ্রেক্ষিত’ আয়োজিত কর্মশালায় খুলনাসহ ১১টি জেলার প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়াকর্মী ও প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মকর্তারা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। প্রাণিসম্পদ দফতর, খুলনার বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএলএস পরিচালক (বাজেট) ড. মো. আবু সুফিয়ান, ডিএলএস পরিচালক (উৎপাদন) ড. এ বি এম খালেকুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে সৈয়দ বোরহান কবীর বলেন, অনেক ক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা  সংবাদে উঠে আসছে না, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্য দিতেও আড়ষ্ঠতা বা ভীতি কাজ করে। ফলে পারস্পরিক আস্থার অভাবে তথ্যে ঘাটতি থেকে যায়। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য প্রাণিসম্পদ ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নিতে উন্নয়ন সাংবাদিকতায় গণমাধ্যমকর্র্মীদের আগ্রহী হতে হবে।

এলডিডিপি প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী বলেন, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি খাতে উন্নয়নে প্রকল্পের আওতায় খামারিদের উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধি, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার ও বিপণন ব্যবস্থায় ‘মার্কেট লিংকেজ’ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ খাতের উন্নয়নে সংবাদকর্মীদের ইতিবাচক সহায়তা ও প্রচারণার সুযোগ রয়েছে।