নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পাঠানো সংলাপের চিঠিকে ‘সরকারের নতুন কৌশল’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে রাজনৈতিক দলকে সংলাপের চিঠি দিয়েছে সরকার। এটি সরকারের নতুন কৌশল। গতকাল দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় বিএনপির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুস সালাম প্রমুখ।
বিএনপিকে সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানিয়ে দেওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের চিঠির উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের চিঠির বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হবে। ইসির কোনো ক্ষমতা নেই কিছু করার। এই সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাই নিরপেক্ষ সরকারের ঘোষণা দিতে হবে।তিনি বলেন, আজকে যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে তারা ভয়ংকর মিথ্যা ইতিহাস শিক্ষা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শূন্যতা ও ব্যর্থতার কারণেই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা ঘটেছিল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাধীনতার চেতনা আজ ধূলিসাৎ করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা না থাকায় সিন্ডিকেট করে অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। এ অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায় বিএনপি। মুক্তিযুদ্ধের দল হিসেবে বিএনপিকে দায়িত্ব বেশি নিতে হবে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।