শীত মৌসুম শেষ হওয়ার পর থেকেই সবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী। প্রথমদিকে সরবরাহ কমের অজুহাত দেখানো হতো। তবে এখন কোনো অজুহাত ছাড়াই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বেশির ভাগ সবজি। এ ছাড়া বেড়েছে আলু ও সোনালি মুরগির দাম। গতকাল রাজধানীর শনিরআখড়া বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। ব্রয়লারের দাম কিছুটা কমেছে। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে লেয়ার মুরগি। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ২২০ টাকা। সোনালি মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৩৩০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা। মুরগি বিক্রেতা হালিম মিয়া বলেন, সরকার থেকে খামারিদের চাপ দেওয়ায় দাম কমেছে ব্রয়লারের। তবে বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। ২০ রমজানের পরে মুরগির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। গরুর মাংস বাড়তি ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৫০-১১০০ টাকায়। কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দামও। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে ফার্মের মুরগির ডজন ছিল ১৪০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০-২২০ টাকা।
শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০, লম্বা ও গোল বেগুন ৮০, টমেটো ৪০-৬০, শিম ৮০, করলা ১২০ টাকা। আকারভেদে লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। চালকুমড়া ৫০-৬০, মিষ্টিকুমড়া কেজি ৪০, চিচিঙ্গা ৬০, পটোল ৮০, ঢেঁড়শ ৮০, কচুর লতি ১০০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৮০ ও ধুন্দুল ৮০ টাকা। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। গাজরের কেজি ৬০ টাকা। বিক্রেতা মো. মাহবুবে আলম বলেন, তাজা সবজির দাম বেড়েছে। রোজায় সবজি কম খাওয়া হলেও ক্রেতারা তাজা সবজি চায়। এ ছাড়া কাঁচাকলা এবং লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। পিঁয়াজ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। বড় রসুন কেজি ১২০ টাকা। ছোট রসুন (দেশি) কেজি ৮০-১০০ টাকা। আদার কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। বেড়েছে আলুর দাম।
প্রতি কেজি ৩০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা। খোলা চিনির কেজি ১২০ টাকা। খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ এবং ২ কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। দেশি মসুরের ডাল কেজি ১৪০ টাকা। ভারতীয় মসুর ডাল কেজি ১২০-১২৫ টাকা। সয়াবিন তেল লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা। লবণের কেজি ৩৮-৪০ টাকা।
রায়েরবাগের বাসিন্দা রনি তালুকদার বলেন, আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব পণ্য। বর্তমান বাজারে সাধারণ মানুষের খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাই অনেক কঠিন। সব পণ্যের দামই নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।