বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

শেষ মুহূর্তে পা ফেলার ঠাঁই নেই

ঈদবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

শেষ মুহূর্তে পা ফেলার ঠাঁই নেই

ঈদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। শেষ সময়ে এসে রংপুরের ঈদবাজার ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে মুখর হয়ে উঠেছে। মেগা মল, মার্কেট, ফুটপাতসহ সব স্থানেই প্রচন্ড ভিড়। ক্রেতা-বিক্রেতারা কেনাকাটা করছেন গাদাগাদি করে। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া মানুষ যার যার সাধ্যমতো কেনাকাটা করছে। ফলে জমজমাটভাবে চলছে ঈদবাজার। বড় বড় বিপণিবিতানের পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলো ক্রেতাদের পদচারণে মুখর। ফুটপাতের দোকানগুলোয় খেটে খাওয়া মানুষের ভিড়ই বেশি। শহরের সালেক মার্কেট, স্টেশন মার্কেট, জামাল মার্কেট, হনুমানতলা মার্কেটে মধ্যবিত্তের সংখ্যা বেশি। জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, জাহাজ কোম্পানি শপিং কমপ্লেক্স, গোল্ডেন টাওয়ার বিপণিবিতান, রজনীগন্ধা, শাহ আমানত, কারুপণ্য, সিটি প্লাজা, মতি প্লাজাসহ বড় বড় বিপণিবিতানে উচ্চ আয়ের মানুষ কেনাকাটার জন্য ভিড় করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মেগা মলে ক্রেতার ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। বিপণিবিতান ও মেগা মলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষ। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী নতুন পোশাক কিনছেন। বড় বড় বিপণিবিতানে বাছাই করা কাপড় শোরুমে শোভা পাচ্ছে। সামর্থ্যবানেরা সবচেয়ে সুন্দর ডিজাইনের জামাকাপড় কেনার চেষ্টা করছেন প্রিয়জনের জন্য।

আবদুল করিম ও রমজান আলী নামে দুই ক্রেতা জানান, অভিজাত মার্কেটগুলোয় পণ্যের দাম কিছুটা বেশি। প্যান্ট-শার্ট, থ্রি পিস, শাড়ি, তৈরি পোশাকসহ সব পণ্যের দাম গতবারের তুলনায় ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা বেশি। শহরের কম দামি মার্কেট হিসেবে পরিচিত হনুমানতলা বাজারে ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।

জাহাজ কোম্পানি শপিং কমপ্লেক্সের দোকানি রফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে এ মার্কেটে শুধু রংপুরের মানুষ নয়, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, বগুড়া, গাইবান্ধার ফ্যাশনসচেতন মানুষ ভিড় করছে। সবার চাহিদা দেশি কাপড়ের দিকে।

ব্যবসায়ী আলী ও আফজাল জানান, এখন রেডিমেড পোশাক সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের পোশাক। এ ছাড়া থ্রি পিস ৩০০ থেকে ১০ হাজার, শাড়ি ২৫০ থেকে ২৫ হাজার, প্যান্ট পিস ৩০০ থেকে আড়াই হাজার, শার্ট পিস ২০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন জানান, করোনার কারণে এর আগে কয়েক বছর ব্যবসা ভালো হয়নি। এবার ব্যবসায়ীদের দম ফেলার ফুরসত নেই।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর