মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

সরকার পতনে আন্দোলন হতে পারে না, নির্বাচনই পরিবর্তনের উপায় : মেজর (অব.) আখতার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপি থেকে দুই বারের সংসদ সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন ‘সরকার পতনে আন্দোলনের’ সমালোচনা করে বলেছেন, সরকার পরিবর্তনের উপায় হলো নির্বাচন। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে এ পরিবর্তন চাই। তিনি গত রবিবার কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার গচিহাটা কলেজ মাঠে ঈদ ও বৈশাখী মেলা উপলক্ষে আয়োজিত চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। মেজর আখতার বলেন, ‘সরকার পতনের জন্য কোনো আন্দোলন হতে পারে না। এটা গণতান্ত্রিক বিধি-ব্যবস্থায় পড়ে না। কারণ আজ আমি সরকার গঠন করতে পারলে আন্দোলন করে আগামীতে আমার সরকারের পতন ঘটাবে, এটা হতে পারে না। আমরা চাই গণতান্ত্রিক পরিবেশ আসুক, সেই পরিবেশে যারাই নির্বাচিত হবেন, তারাই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন।’

মেজর আখতার বলেন, ‘আমরা একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ চাই। সেই গণতান্ত্রিক পরিবেশে জনগণ যাকে ভোট দেবেন সেই-ই নির্বাচিত হবেন। আর তারাই সরকার চালাবেন। এখানে কাউকে জোর করে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। কাউকে বিতাড়িত করার কোনো সুযোগ নেই। এখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল যারা আছে, তাদের মধ্যে একটা নির্বাচন হবে। নির্বাচনে যারা জয়লাভ করবে তারাই ক্ষমতায় যাবে।’ তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, আমরা আন্দোলন করতে পারি ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন্তু সরকার পতনের আন্দোলনের সঙ্গে আমি কখনোই একমত ছিলাম না, এখনো একমত নই। এতে দল যদি অসন্তুষ্ট হয় হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ সরকারকে আমরা মেনে নিয়েছি গত চার বছর ধরে। এ সরকার চার বছর ক্ষমতায় ছিল, তাহলে আমি কেন সরকারকে বলব পদত্যাগ করতে? আমার কী নৈতিক অধিকার আছে? চার বছর আমি অ্যালাউ করলাম কেন এ সরকারকে টিকে থাকতে? কাজেই আমার কথা পরিষ্কার, এ সরকার থাকুক। এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ। সেটি যদি করতে না পারে সরকার, তাহলে সে জন্য এ সরকারকে মূল্য দিতে হবে। কাজেই আমি বিশ্বাস করি, আমাদের নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশের জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে হবে।’ তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। কারণ এ সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে ডিক্লেয়ার করে চার বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় থেকে গেছে। তার মানে এ সরকার এখন বৈধ হয়ে গেছে। যে সরকারকে চার বছর আমি মেনে নিয়েছি, সেই সরকারকে এক বছর মেনে নেব না কেন? এ নিয়ে গণ্ডগোল, অসন্তোষ সৃষ্টি করার কোনো অর্থ হয় না। তার চেয়ে উচিত হবে বিএনপিকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।’

বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘হাতে আর মাত্র সাত-আট মাস সময় আছে। এই সাত-আট মাসের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। এ এলাকা কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ায় (কিশোরগঞ্জ-২) একটা ভালো প্রার্থী দেন, জনগণ যাকে পছন্দ করে এমন প্রার্থী দেন, তার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব। আমি সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করব।’

সর্বশেষ খবর