শিরোনাম
সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজধানীতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু

পৃথক ঘটনায় দুই ছাত্রের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরখানে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- আবদুস সামাদ (৫০) ও মধু মিয়া (৪৩)। গতকাল সকালে বাবুর্চির মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করে। পৃথক ঘটনায় হাজারীবাগে প্রযুক্তা সাহা (১৬) নামে ইংলিশ মিডিয়ামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ এবং আফতাবনগরে পানিতে ডুবে তামজিদ আহামেদ (১৮) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ডিএমপির উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আবুল কালাম বলেন, সকালে খবর পাই উত্তরখানের বাবুর্চি মোড় এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নামেন দুই শ্রমিক। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তারা আর ওপরে উঠতে পারেননি। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে দুজনের লাশ উদ্ধার করে। পরে দুই শ্রমিকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে গতকাল হাজারীবাগের জাফরাবাদ এলাকা থেকে প্রযুক্তা সাহা নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ও-লেভেলে পড়াশোনা করত। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শ্যামা প্রসাদ সাহার একমাত্র মেয়ে প্রযুক্তা। বর্তমানে হাজারীবাগের জাফরাবাদ একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। তার বাবা-মা দুজনেই চাকরিজীবী। প্রযুক্তার বাবার এক বন্ধু জানান, সে মোবাইলে কথা বলত, গেমস খেলত। এ নিয়ে তার পরিবার বকাঝকা করায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছি। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ায় খুবই আদরের ছিল প্রযুক্তা।

এদিকে গতকাল আফতাবনগরে ডোবায় বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে তামজিদ আহামেদ নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তিনি নিউ স্কাটন রোডের বিয়াম মডেল কলেজের এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। তার সহপাঠী শাহিল রহমান জানান, তামজিদসহ চার বন্ধু আফতাবনগরে যান। বাকি দুই বন্ধু হলেন- শাহিদ হাবিবউল্লাহ ও ধ্রুব। সেখানে চায়না প্রজেক্টের পাশে একটি ডোবায় তিন বন্ধু  গোসল করতে নামেন। ধ্রুব কাপড়চোপড় নিয়ে বসে ছিল। তাদের মধ্যে দুজন সাঁতার কেটে উঠতে পারলেও তামজিদ ডুবে যান। পরে তারা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ফরাজী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বাবা একজন আইনজীবী এবং গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে। বর্তমানে শান্তিবাগের গোলাপবাগে থাকতেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর