ঈদের পর সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের লেনদেনে শেয়ারবাজারে সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। ঈদের আগে শেয়ারবাজার টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও গত দুই দিন ডিএসই এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে।
মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি দুই বাজারেই কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। ঈদের পর শেয়ারবাজারে দরপতন হলেও ঈদের আগে টানা চার কার্যদিবস মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। গতকাল দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে। ১৪৬টির দাম কমেছে। আর ১৭৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৩১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে দিনভর লেনদেন হয়েছে ৬৭৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫১৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। দিন শেষে লেনদেন বেড়েছে ১৬৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। টাকার পরিমাণে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৬ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ২৪ কোটি ৭১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪২টির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ৯৪টির এবং ৭০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।