বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ ফাঁকা থাকায় প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় যোগ্য ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য শিক্ষকদের থেকে ভিসি নিয়োগের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের শিক্ষকদের একটা সংগঠন থাকে। সেখান থেকে আগে একজনকে ভিসি বানিয়ে দেওয়া হতো। এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষককে আমরা চিনি তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, ব্যক্তিত্ব এবং প্রশাসনিক দক্ষতার দিক থেকে যারা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এরকম শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করছি। যত দ্রুত সম্ভব আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি নিয়োগ দেব।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, দেশের বেসরকারি কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছিল। তাতে শিক্ষক নিয়োগে যে অনিয়ম হয়েছে সেটা ছিল পুঞ্জীভূত অনিয়ম। এরকম হাজার হাজার অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। এগুলো নীতিগত সিদ্ধান্ত ছাড়া তো ঠিক করা যাবে না। তবে কথা হচ্ছে, শিক্ষাঙ্গনে ভদ্রতা বজায় রাখতে হবে, বল প্রয়োগ করা যাবে না, কাউকে অপমানিত করা যাবে না।
কয়েক শ শিক্ষার্থীর অব্যাহত চাপ প্রয়োগের মধ্য দিয়ে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার স্থগিত থাকা পরীক্ষা বাতিল করে বিশেষ পদ্ধতিতে ফল প্রকাশের উদ্যোগকে অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেন এ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে আমার একার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই। বোর্ডগুলো সিদ্ধান্ত নেবে।