এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, গত ১৫ বছর সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো পরিচালিত হয়নি। রপ্তানির পরিসংখ্যান কোনো প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো দেয়নি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এক ধরনের তথ্য দিয়েছে, কাস্টমস আরেক ধরনের তথ্য দিয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়েছে। পরে দেখা গেল, সে পরিসংখ্যান ঠিক নয়। যার ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
গতকাল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ) আয়োজিত ‘চলমান পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক খাতের সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিজিবিএ সভাপতি মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন পাভেলের সভাপতিত্বে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, বিজিএপিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ শাহরিয়ার, বাফা সভাপতি কবির আহমেদ, বিজিএমইএ পরিচালক শোভন ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে দেশে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হয়। রাজনীতিকে অর্থনীতি থেকে আলাদা করা যাবে না। রাজনীতি ঠিক না থাকলে অর্থনীতি ভালো থাকবে না। তিনি বলেন, দেশে নতুন বিনিয়োগ দেখছি না। ব্যাংকের অবস্থা এত খারাপ কোনো দিন দেখিনি। কারখানায় আগুন দেওয়া হচ্ছে, এসবের জন্য রাজনৈতিক দলই দায়ী।
বিজিএমইএ পরিচালক ও স্পারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, ভুল পরিসংখ্যান দেওয়ার কারণে আমাদের এলডিসি থেকে যে উত্তরণ হচ্ছে এতে আমরা অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা এখনো এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুত নই। বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, আমাদের শিল্পকে বাঁচাতে হলে জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে। আমাদের ব্যাংকিং সুবিধা দরকার, আমরা এলসি খুলতে পারছি না। শিল্পকারখানায় গ্যাস, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে। বিজিএপিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ব্যাংক সুবিধা পেলে পোশাক কারখানা ঘুরে দাঁড়াবে।
এসব সমস্যার জন্য যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।