গণ অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে গতকাল কেবিনেট মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি আন্দোলনের পর থেকে অনেক মা-বাবাও ট্রমাটাইজড। অনেক পরিবারের মেয়েরা আন্দোলনে ট্রমাটাইজড হয়ে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে না এই ভয়ে যে, যদি মানুষ জেনে যায় তাহলে তাদের বিয়ে দিতে সমস্যা হতে পারে। গতকাল ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘মেন্টাল হেথ ক্রাইসিস : ডিলিং উইথ পোস্ট জুলাই রেভ্যুলেশনারি আসপেক্টস’ শীর্ষক সেমিনারে ফরিদা আক্তার এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান বলেন, গণ অভ্যুত্থানে আহতরা যে পক্ষের হোক তারা চিকিৎসা পাবেন। তবে গণ অভ্যুত্থানের পক্ষে আহতদের অর্ধেককে এখনো সহায়তার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে সব গুছিয়ে নিতে। আমরা নিশ্চিত করছি তাদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও সার্বিক প্রয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে। যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক হবে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চাইল্ড হেল্পলাইনের পরিচালক মো. মোহাইমিন চৌধুরী বলেন, আন্দোলনকলীন থেকে চাইল্ড হেল্পলাইনে কলের সংখ্যা বেড়ে যায়। যারা সরাসরি আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে এবং এই সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে, তাদের অনেকেই এখন খাওয়া-দাওয়া করতে পারছে না, ঘুমাতে পারছে না। কারণ তারা মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত।