খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির ছয় তলা ভবন নির্মাণ কাজে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে অডিট কমিটি। ভবনের পঞ্চম তলায় চিলেকোটা, স্যানিটেশন ওয়াটার সাপ্লাই, বৈদ্যুতিক লাইন, ডিপ টিউবওয়েল, লিফট ও কম্পাউন্ড ড্রেন তৈরি না করেই এসব টাকা আত্মসাৎ করা হয়। সিনিয়র আইনজীবীদের সমন্বয়ে অডিট কমিটি অর্থ আত্মসাতের এ প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এ ঘটনায় সাধারণ আইনজীবীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির ভবন নির্মাণে ৩ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকা অনুদান দেয়। এতে পাঁচটি বিভাজনে ছয় তলা ভিত বিশিষ্ট চার তলা ভবনে ফাউন্ডেশন, অবকাঠামো, ছাদে উপরিঅংশে কাজ, স্যানিটেশন, ওয়াটার সাপ্লাই, বিদ্যুৎ লাইন, লিফট ও দরপত্র আহ্বান, বিজ্ঞাপন ডিজাইন-ড্রয়িংয়ে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু অবকাঠামো নির্মাণ হলেও অন্যান্য কাজ শেষ না করেই পুরো টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
অডিট কমিটির সদস্য সিনিয়র আইনজীবী আবদুল মালেক জানান, তদন্তে দেখা গেছে কাজ না করেই ভুয়া বিল ভাউচারে চিলেকোটা নির্মাণ বাবদ ৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, অভ্যন্তরীণ স্যানিটেশন ওয়াটার সাপ্লাইয়ের ৫ লাখ ৫৯ হাজার, বাইরের স্যানিটারি ওয়াটার সাপ্লাইয়ের ২ লাখ, ডিপ টিউবওয়েল বাবদ ৯ লাখ ৫০ হাজার, বৈদ্যুতিক লাইন বাবদ ৪ লাখ, পাম্প মোটর বাবদ ২ লাখ, লিফট বাবদ ৫৫ লাখ, ফায়ার স্টেংগুইসার ২ লাখ ও কম্পাউন্ড ড্রেন বাবদ ৫ লাখ ২৯ হাজারসহ মোট ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সভাপতি-সম্পাদকের স্বাক্ষরে অগ্রণী ব্যাংক স্যার ইকবাল রোড শাখা থেকে অনুদানের সব টাকা উত্তোলন করা হয়। ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালে ৩২ সদস্যের তদারকি কমিটি থাকলেও আলোচনা ছাড়াই নকশা উপেক্ষা করে ভবন নির্মাণ করা হয়। এ ঘটনায় দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ
উঠলে জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র চারজন আইনজীবীর সমন্বয়ে অডিট টিম গঠন করা হয়।