পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার নাম পরিবর্তন করে আগের নাম জিয়ানগর পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গতকাল পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের কাছে এ দাবি জানান তাঁরা। স্থানীয় জনসাধারণের স্বাক্ষরসংবলিত আবেদনপত্রটি উপদেষ্টার কাছে জমা দেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী।
আবেদনপত্রে বলা হয়, ২০১৭ সালে পিরোজপুরের সপ্তম উপজেলা জিয়ানগরের নাম পরিবর্তন করে ইন্দুরকানী থানা হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামের সঙ্গে মিল থাকায় কেবল রাজনৈতিক বিদ্বেষ ও হীনমন্যতার কারণে এ নাম পরিবর্তন করা হয়। তবে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থায় আমরা নাম পরিবর্তনের কোনো সুসংগঠিত প্রতিবাদ করতে পারিনি। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের ফলে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে এবং ছাত্র-জনতার আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। স্বৈরাচারী সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ত্রুটি সংশোধনে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এ প্রেক্ষাপটে ‘শ্রুতিকটু’ ইন্দুরকানী নাম পরিবর্তন করে আগের জিয়ানগর নামকরণের দাবি এলাকাবাসীর।
এর আগে ২০০২ সালে প্রশাসনিক পুনর্গঠন ও সংস্কারের জন্য জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ৮৭তম বৈঠকে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী থানাকে জিয়ানগর উপজেলা নামে নামকরণের প্রস্তাব আনা হয়। পিরোজপুর সদর উপজেলার পত্তাশী, পারেরহাট ও বালিপাড়া ইউনিয়নের ৯৪.৬০ বর্গ কিমি আয়তন এলাকা নিয়ে জিয়ানগর উপজেলা নামে একটি নতুন প্রশাসনিক উপজেলা গঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।