চট্টগ্রামে পেশাদার ২৮ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের আটটি সংগঠন। এ মামলাকে পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের অংশ আখ্যায়িত করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অন্য আসামিদের সঙ্গে একাধিক সাংবাদিক নেতাসহ মোট ২৮ জন সাংবাদিককে আসামি করা হয়।
বিবৃতি দিয়েছেন, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সভাপতি খোরশেদ আলম ও সম্পাদক যীশু রায় চৌধুরী, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতা ও সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারী রুনা, চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম-এর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলতাফ, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজিব ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম মামুন। যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিকদের বিরূদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, এর পেছনে স্বার্থান্বেষী মহলের দুরভিসন্ধি ও হীন উদ্দেশ্য রয়েছে। সাজানো এ মামলা সাংবাদিকদের সামাজিকভাবে অপদস্ত ও হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টার অংশ।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ সবসময় যে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঠিক চিত্র দেশবাসীর কাছে তুলে ধরেছে এই সাংবাদিকরাই। রক্তস্নাত একটি আন্দোলনের পর দেশের মানুষ যেখানে একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, সেখানে মিথ্যা ও উদ্ভট নানা অভিযোগ এনে সাংবাদিকদের মামলার আসামি করার ঘটনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এ ধরনের সাজানো মামলা থেকে সাংবাদিকদের নাম প্রত্যাহার এবং ষড়যন্ত্রকারী মহলকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় সাংবাদিক সংগঠনগুলো এ ব্যাপারে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।