গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যায় সাবেক মন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ ১১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল নিহতের স্ত্রী রাবেয়া রহমান মামলাটি করেন। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাবুদ্দিন আজম, সাবেক এমপি নাজমা আক্তার, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক সিকদার, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম কবীর, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরী পপা, সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানের মেয়ে কান্তারা খান প্রমুখ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৩ সেপ্টেম্বর স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়িবহরের সঙ্গে বাদিনীর স্বামী টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে ঘোনাপাড়ায় দোলা পেট্রলপাম্পের সামনে পৌঁছলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে গাড়িবহরে হামলা চালায়। এ সময় একটি গাড়িতে থাকা তার স্বামী দিদারকে আসামিরা নিচে নামিয়ে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা শেষে লাশ রাস্তার পাশে রেখে যায়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ঘটনার পর মামলা না হলেও সন্দেহমূলকভাবে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। এজাহারে তাদের কারও নাম থাকলে তাকে মামলার আসামি হিসেবে গণ্য করা হবে।