প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা বন্ধে সচেতনতা তৈরি করতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘রোবট দানব’। জেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সৈকতের সুগন্ধা-সিগাল পয়েন্টে প্লাস্টিক বর্জ্যে তৈরি করা হয়েছে ‘দানব’ ভাস্কর্যের। এটি তৈরি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের একদল শিল্পী। সমুদ্রে পরিত্যক্ত প্রায় ১০ মেট্রিক টন প্লাস্টিক দিয়ে ৬২ ফুট উচ্চতার এ দানবটি তৈরি করা হয়েছে। সরেজমিন সৈকতে দেখা গেছে, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সিগাল পয়েন্টের বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে আছে প্লাস্টিকের তৈরি দানব রোবট। যে দানবটি রক্তমাংসহীন প্রতীকী হলেও যার হিংস্র থাবায় প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত মানবদেহ, প্রকৃতি ও প্রাণবৈচিত্র্য। জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘প্লাস্টিক দানবের মতো সমুদ্র ও জনজীবন ধ্বংস করছে এবং ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকা এ ভয়াবহতা দ্রুতই রুখে দিতে হবে। এ সতর্কতা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই ভাস্কর্য প্রদর্শনীর এ উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। আশা করি এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষ প্লাস্টিক ব্যবহারে আরও সতর্ক হবে।’
ভাস্কর ও শিল্পী আবীর কর্মকার জানান, দানব তৈরিতে তাঁরা প্লাস্টিক বর্জ্যরে পাশাপাশি ব্যবহার করেছেন কাঠ, পেরেক ও আঠাসহ (গাম) আরও কয়েকটি উপকরণ।
গতকাল সকাল ১০টায় এ রোবট ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ইয়ামিন হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী, বিদ্যানন্দের গভর্নিং বডির সদস্য জামাল উদ্দিন, জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী।