বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে স্পিডবোটের অজ্ঞাত এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এক পুলিশ কনস্টেবল আহত অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল বিকাল ৩টার দিকে কীর্তনখোলা নদী ও লাহারহাট খালের সংযোগস্থল জনতার হাট খেয়াঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে থাকা বরিশাল সদর নৌ-থানার এসআই ওমর ফারুক জানিয়েছেন, যতটুকু তথ্য পেয়েছি এখন পর্যন্ত চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় পাননি বলে জানান এসআই ওমর ফারুক।
নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ের যাত্রীর বয়স আনুমানিক (৫০)। আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন পুলিশ কনস্টেবল হলেন মানসুর আহমেদ। তিনি ভোলার দৌলতখান থানার কনস্টেবল। প্রত্যক্ষদর্শী জনতার হাটের চায়ের দোকানি মো. রাহাত বলেন, ৩টার দিকে নদীতে শব্দ হয়। যেদিক থেকে শব্দ আসে, সেদিকে তাকিয়ে একটি বাল্কহেড যেতে দেখি। আর কিছু দেখতে পাইনি। কিছু সময় পর দেখি কয়েকজন লাইফজ্যাকেট পরা ব্যক্তি সাঁতার কেটে তীরে আসার চেষ্টা করছেন। দ্রুত ট্রলার নিয়ে ছয়জনকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হয়।
এ ছাড়া লাহারহাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাওয়া একটি স্পিডবোটে করে আরও দুই যাত্রীকে উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্পিডবোট মালিক সমিতির একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভোলার ভেদুরিয়া ঘাট থেকে ১০ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি বরিশাল নগরীর ডিসিঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। লাহারহাট খাল থেকে কীর্তনখোলা নদীতে প্রবেশ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই মালিকের দাবি, তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। ঘটনাস্থলে থাকা বরিশাল সদর নৌ-থানার এসআই ওমর ফারুক বলেন, দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় একজন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এখন পর্যন্ত চারজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। বাল্কহেডটি আটক করা হয়েছে। স্পিডবোটটি উদ্ধার ও নিখোঁজদের সন্ধান চলছে।