রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবিতে) ৩ নম্বর হলে চলছে তিন দিনব্যাপী ‘অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সল্যুশন বা এটিএস এক্সপো-২০২৪’। দ্বিতীয়বারের মতো একক এই বৃহৎ শিল্পমেলার আয়োজন করেছে ওয়ালটন। ‘এটিএস এক্সপো-২০২৪’-এর উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
এটিএস এক্সপোতে একই ছাদের নিচে ওয়ালটনের সর্বাধুনিক ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টসে উৎপাদিত আন্তর্জাতিক মানের ৫০ হাজারেরও বেশি শিল্প উপকরণ, উপাদান, সেবা ও টেস্টিং সল্যুশনস প্রদর্শন করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রদর্শিত হচ্ছে এনার্জি সেভিং ও পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, লিফটসহ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল, হোম এবং কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যসামগ্রী।
এক্সপোতে ওয়ালটন হোম প্রোডাক্ট দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। হোম প্রোডাক্টে একটি অ্যাপের মাধ্যমে রুমে থাকা ওয়ালটনের সব ধরনের পণ্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যা বাসায় যে কোনো স্মার্টফোনের মাধ্যমে করা যাবে। আবার দেয়ালে টানানো ট্যাবের মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। অ্যাপের মাধ্যমে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, রুম হিটার ও লাইট চলবে।
ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ওয়ালটনের নিজস্ব প্রোডাকশন প্ল্যান্টে ফিনিশড প্রোডাক্টস, কাঁচামাল, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, প্যাকেজিংসহ সব ধরনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস উৎপাদিত হচ্ছে।
এসব পণ্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করতে সক্ষম ওয়ালটন। দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের কাছে ওয়ালটনের এই সক্ষমতা তুলে ধরে দেশের আমদানিনির্ভরতা হ্রাস করার লক্ষ্যেই এটিএস এক্সপো আয়োজনের উদ্যোগ।
ওয়ালটনের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুল আলম বলেন, এটিএস এক্সপোর মাধ্যমে বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে ভিন্নভাবে পরিচিত করিয়ে দিতে চাই আমরা। বিশ্বের সেরা সব পণ্য আমরা এখন দেশে তৈরি করতে সক্ষম। লাস ভেগাস, ক্যান্টন ফেয়ার এবং ফ্রাঙ্কফুটের মতো বিশ্ব মেলা মঞ্চে আমরা ওয়ালটন পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। আমরা সেখানে দেখিয়েছি, বাংলাদেশ কোথায় আছে। এখন বৈশ্বিক ক্রেতাদের এখানে এসে দেখে যেতে হবে। সারা বিশ্ব অচিরেই বাংলাদেশকে প্রযুক্তি পণ্যের হাব হিসেবে চিনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।