বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, আওয়ামী লীগের রক্ত, মাংস, অস্থিতে ফ্যাসিজম মিশে আছে। তাই আওয়ামী ফ্যাসিজম রুখে দিতে দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গতকাল বিকালে জেলার সিংড়া উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন। দুলু বলেন, এই খুনি হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ বিডিআর বিদ্রোহের নামে পিলখানায় হত্যাকান্ড চালিয়েছে, শাপলা চত্বরে হেফাজতের মহাসমাবেশে হত্যাকান্ড করেছে, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে প্রায় ২ হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। শুধু হাসিনার ইতিহাসই হত্যাকান্ডের ইতিহাস নয়, স্বাধীনতা-পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ মুজিবুর রহমানও হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছিলেন। দেশে একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।
শেখ মুজিব চারটি পত্রিকা বাদে দেশের সব পত্রিকা নিষিদ্ধ করেছিলেন। ইতিহাসের পটপরিক্রমায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিই বাংলার মাটিতে অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। দেশের মানুষ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জোর করে বিনা ভোটে টানা চারবার ক্ষমতা দখল করেছে। ’৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার স্বপ্নে বিভোর আওয়ামী লীগ ক্ষমতা রক্ষার জন্যই দেশপ্রেমিক চৌকশ সেনা অফিসারদের হত্যাসহ আওয়ামীবিরোধী দেশের সচেতন হাজারো মানুষকে হত্যা ও গুম করেছে। আয়নাঘরের জন্ম দিয়েছে। দুলু বলেন, এখন ভারতে বসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা গল্প সাজিয়ে প্রচার করছে। ভারতের উগ্র হিন্দুদের আমাদের দেশের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলার অপচেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলের চেয়ে দেশের হিন্দুরা এখন ভালো আছে, শান্তিতে আছে। তাদের প্রতি কোনো অত্যাচার করা হচ্ছে না। মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে আমাদের দেশের হিন্দু-মুসলিম সুসম্পর্ক নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। দেশের মানুষকে তাই সব সময় সচেতন থাকতে হবে। ভিতর-বাহির যে কোনো ষড়যন্ত্র হলে দেশের মানুষ দলমত, ধর্ম-বর্ণ একত্র হয়ে রুখে দিতে হবে।
সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনুর সভাপতিত্বে কোর্ট মাঠে আয়োজিত জনসভায় যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. শামীম হোসেন ও উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব তাইজুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সিংড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ। জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাটোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ এমদাদুল হক আল মামুন, জেলা যুবদল সভাপতি হাই তালুকদার ডালিম, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।