বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেছেন, বগুড়ায় বিমানবন্দর চালু হলে অর্থনৈতিক পরিসর আরও সমৃদ্ধ হবে। এখানে বিমানবন্দর নিয়ে আগের সরকারকে একাধিকবার প্রস্তাব দিলেও কোনো গুরুত্ব দেয়নি তারা। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে নতুন করে প্রস্তাব দেব। বাজেট পেলেও স্বল্প পরিসরে চালু করতেও সময় লাগবে কমপক্ষে এক বছর। গতকাল বগুড়া বিমানবন্দর এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের নবম বিমানবন্দর হিসেবে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বগুড়া বিমানবন্দর। এটি চালু করতে প্রয়োজন সর্বনিম্ন ৬ হাজার ফুট রানওয়ে।
এখন আছে ৪ হাজার ৭০০ ফুট। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজাসহ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা।
উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার বগুড়ায় বাণিজ্যিকভাবে বিমানবন্দর স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৮৭ সালে। নানা জটিলতায় সেই উদ্যোগে ভাটা পড়ে। এরপর ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের শেষ দিকে এখানে বিমানবন্দর স্থাপনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এ জন্য ২২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন পায়।
১৯৯৬ সালে প্রকল্পের আওতায় রানওয়ে, কার্যালয় ভবন ও কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করা হয়। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০০০ সালে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ২৮ বছরেও বগুড়া বিমানবন্দর বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়নি।