পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ুদূষণ রোধে ধুলা নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করার মতো পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। তবে জ্বালানির মান উন্নয়ন ও রিফাইনারি আধুনিকায়নের মতো দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপে সময় ও প্রচুর অর্থ প্রয়োজন। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস আয়োজিত ‘এয়ার কোয়ালিটি রিসার্চ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল পলিসি ডিসকাশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বায়ুদূষণ সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সড়ক বিভাগ ও বিআরটিএর সঙ্গে যৌথভাবে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই টাস্কফোর্স অ্যাকশন গ্রুপ তৈরি করেছে, যারা ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ধুলা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করবে। আসছে বর্ষায় ঢাকার রাস্তার ডিভাইডারগুলো ঘাস দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম এবং মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক কর্মকর্তা অ্যামি ক্যাস। সেমিনারে কি-নোট উপস্থাপন করেন উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জেমস জে স্কাওয়ার, সেন্ট লুইস বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ড. বেঞ্জামিন ডি ফয় এবং ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জিল বুমগার্টনার। বাংলাদেশের বায়ুদূষণের ধারা ও সুপারিশ তুলে ধরেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. জাহিদুল কাইয়ুম, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামিহা নাহিয়ান, বুয়েটের শহীদ উজ জামান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. জিয়াউল হক।
